৫ আগষ্টের পরও বাড়বে বিধিনিষেধ, আসতে পারে শিথিলতা

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগষ্টের পরও বাড়বে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা আসতে পারে। কোন কোন বিষয়ে শিথিলতা আনা যায়, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আগামী ৩ বা ৪ আগষ্টের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
শনিবার (৩১ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার।
ঈদুল আযহা সামনে রেখে আটদিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগষ্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।
বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা।
এরই মধ্যে ১ আগষ্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বন্ধই থাকছে দোকান ও শপিংমল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।
কিন্তু এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি। বরং দিন দিন অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সংক্রমণ পরিস্থিতির সঙ্গে অর্থনীতি ও মানুষের জীবিকার বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে সরকারকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই আগামীতে বিধিনিষেধ বাড়ানো হলেও কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতার কথাও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে শিথিলতা আসছে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়। বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে আছে।
৫ আগষ্টের পর বিধিনিষেধ বাড়বে কি-না, জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত রফতানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দিচ্ছি। সেটাও সীমিত পরিসরে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫ আগষ্টের পর কী হবে আমরা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। প্রধানমন্ত্রী এখনো সিদ্ধান্ত দেননি। আগামী ৩ আগষ্ট সিদ্ধান্ত জানানোর চেষ্টা করব। ওইদিন না হলে ৪ আগষ্ট সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উনারা সুপারিশ করেছেন আমরা জানি। সংক্রমণ কমাতে গেলে আমাদের যেসব বিকল্পগুলো আছে, সেগুলো আমরা চিন্তা করছি। আমাদের যদি কিছু অফিস খুলতে হয়, সেই অফিসের জনবল কী হবে? আমরা যতটা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা।