ই-পাসপোর্ট

3

দেশে এবং বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর এই চরম দুঃসময়েও প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে শ্রমজীবীরা যাচ্ছেন- এটি একটি সুসংবাদ। প্রবাসী শ্রমজীবীদের বিমানের টিকিট, করোনার টিকা ও সনদপত্র সংগ্রহের জন্য প্রতিনিয়ত যে দীর্ঘ লাইন পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, তাতেই পরিস্ফুট হয়ে উঠে বিষয়টি। তবে আশার কথা এই যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রবাসী শ্রমজীবীদের প্রায় কোন অভিযোগ থাকে না পাসপোর্ট প্রাপ্তি ও নবায়ন নিয়ে। করোনাজনিত দুঃসময় সামলাতে দেশে কঠোর লকডাউন বলবত আছে ৫ আগস্ট পর্যন্ত, যা বাড়তে পারে আগামীতে। ফলে পাসপোর্ট অফিসের সামনে আর আগের মতো সুদীর্ঘ লাইন ও দালালদের দৌরাত্ম্য দেখা যায় না। এখন ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে ই-পোসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের সেবা, যা প্রকৃত পক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত সফল ও ইতিবাচক অবদান। এমআরপি পেতে হলে সরাসরি অথবা অনলাইনে- দুই ভাবেই আবেদন করা যায় পাসপোর্ট অফিসের সঙ্গে। ই-পাসপোর্টের সেবা পাওয়া যাবে কেবল অনলাইনে। তবে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়াটি অপেক্ষাকৃত জটিল। অনেক হিসাব-নিকাশ করে ভুলত্রুটি ব্যতিরেকে আবেদন করতে হয়। পেমেন্টের বিষয়টি হতে হয় নগদ, বিকাশ অথবা অনলাইনে। সব কিছু নির্ভুল হলেই দ্রুততম স্বল্প সময়ের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে ই-পাসপোর্ট। ঢাকা থেকে এ পর্যন্ত দেড় লাখ ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর থেকে পাওয়া যাবে সারাদেশের পাসপোর্ট অফিস থেকে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও বাস্তবায়নে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। ২০২০-এর ২২ জানুয়ারি থেকে চালু হয়েছে ই-পাসপোর্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে প্রথম একটি ই-পাসপোর্ট তুলে দিয়ে শুরু হয়েছে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। আপাতত এই সুবিধা কেবল ঢাকার আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট অফিস থেকে পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা যাতে সহজে ই-পাসপোর্ট পেতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগে।