জগন্নাথপুরে মানুষ নিজের জীবন নিয়ে খেলছে চোর-পুলিশ খেলা

3

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এতে সচেতন জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও অধিকাংশ মানুষ সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে চায় না। তারা মরতে রাজি তবুও ন্যূনতম মাস্ক মুখে পড়ে না। অথচ সবার পকেটে থাকে মাস্ক। প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখলেই দ্রুত পকেটের মাস্ক চলে আসে মুখে। প্রশাসনের সামনে মাস্ক পড়ে ভাল মানুষের মতো পার পেয়ে যায়। প্রশাসন চলে গেলে আবার যেই লাউ সেই কদু। সেই সাথে কিছু দোকানপাটের মালিকরাও এমন নাটক করছে। প্রশাসন দেখলে দোকান বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসন চলে গেলে ফের খোলে বসে দোকানপাট। এর মধ্যে লোকচুরি করে চলছে যানবাহন। লকডাউনে প্রতিনিয়ত এমন অবস্থা বিরাজ করছে। যে কারণে দিনে দিনে বেড়েই চলছে করোনা রোগীর সংখ্যা। ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছে। যদিও পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকগণ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কাজ করছে। তাতেও হচ্ছে না অবস্থার উন্নতি।
এ বিষয়ে ২৮ জুলাই বুধবার সচতেন মহলের অনেকে জানান, মানুষ প্রশাসনের সাথে নয়, তারা চোর-পুলিশ খেলছে নিজের জীবনের সাথে। সচেতনতার অভাবে তারা এমনটি করছে। তাই নিজে বাঁচতে ও তার পরিবারকে বাঁচাতে অবশ্যই শতভাগ মুখে মাস্ক ব্যবহার সহ সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন মানতে সবার প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। সেই সাথে বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ না করে করোনার উপসর্গ নিজের অথবা পরিবারের কারো দেখা দিলে অবশ্যই জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ সহ চিকিৎসকগণের পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আসুন আমরা সবাই মিলে মহামারি করোনা থেকে নিজে বাঁচি ও মাতৃভূমি বাংলাদেশকে সুরক্ষিত রাখি। মনে রাখবেন, করোনাকে কোন অবস্থায় অবহেলা করা যাবে না। তা না হলে হঠাৎ নিজের জীবনের প্রদীপ নিভে যাবে। অথবা আমাদের নিজের দোষে পরিবারের অনেক প্রিয়জনকে অকালে হারাতে হবে। ইতোমধ্যে আমাদের অনেক প্রিয়জনকে হারিয়েছি। এ থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নেয়া উচিত।