স্টাফ রিপোর্টার :
ঈদ পরবর্তী কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে নগরীতে যানবাহন ও মানুষজন চলাচলে গতকাল রবিবার আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়িতে অতিবাহিত হয়েছে। পাশাপাশি আগের দু’দিন নগরীতে লকডাউন বাস্তবায়নে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে বেশ কঠোরই ছিলো।
প্রশাসনের কঠোরতায় প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি মানুষ বের হননি রাস্তায়। কিন্তু সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারে রাস্তায় যানবাহন চলাচল ও জনসমাগম বেশি হবে- এমনটা ভেবেছিলেন সবাই। কিন্তু সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশের কঠোর অবস্থান ও তল্লাশির কারণে রবিবারও নগরীর রাজপথ ছিল অনেকটা যান ও জনশূণ্য।
সকাল থেকে নগরীর ৪৬টি চেকপোস্টে অবস্থান নেয় পুলিশ। এছাড়া নগরীর প্রবেশদ্বার কুমারগাঁও তেমুখী, বিমানবন্দর সড়ক, আবদুস সামাদ আজাদ চত্বর (চন্ডিপুল), হুমায়ূন রশিদ চত্বর ও টিলাগড় এলাকায়ও চেকপোস্ট বসানো হয়।
চেকপোস্টগুলোতে পুলিশ রিকশা, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন আটকে যাত্রীদের বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চায়। সদুত্তর না পেলে ফিরিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের। এছাড়া যেসব যানবাহনের কাগজপত্র সাথে ছিল না তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ছাড়াও মাঠে র্যাব ও সেনাবাহিনী লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। লকডাউন অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখা, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
এদিকে, সকাল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও জরুরি সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবধরণের ব্যবসা প্রতিষ্টান ও অফিস বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। নগরীর সবকটি শপিংমল লকডাউনের নির্দেশনা মেনে বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আড়ৎ কালিঘাট সকাল ৯টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত লকডাউনে শিথিল রয়েছে। এর ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দিতে দেখা গেছে।