কঠোর লকডাউনে পোশাক ও শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাস রোধে দেশে আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ শর্তসাপেক্ষে আট দিনের জন্য শিথিল করা হলেও আগামী ২৩ জুলাই থেকে ফের দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান লকডাউন শিথিল করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে। এ সময় সরকারি, বেসরকারি অফিসসহ পোশাক ও শিল্প কারখানা বন্ধ থাকবে।
শনিবার বিজিবি-৬ এর ৯৬তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কোভিড-১৯ এর ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের স্বার্থে আট দিনের জন্য লকডাউনের সব বিধিনিষেধ স্থগিত করেছে সরকার। গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হল।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে- এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। তবে এই সময়েও জনগণকে সব অবস্থায় সতর্ক থাকতে, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি ‘কঠোরভাবে’ অনুসরণ করতে হবে।
ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের শুরু হবে সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউন আগের চেয়েও কঠিন। আগের লকডাউনে গার্মেন্ট-কলকারখানা চালু ছিল। ঈদ পরবর্তী লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস, গার্মেন্ট, শিল্পকারখানা, মার্কেন ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
ঈদের পর শুরু হওয়া লকডাউনে সরকার পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও বিধিনিষেধের মধ্যেও পোশাক, বস্ত্রসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খোলা রাখতে চান মালিকরা। কিন্তু এবারের কঠোর লকডাউনে পোশাক কারখানা খোলা হবে না বলে আজ জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।