বিক্রি হয়ে গেছে ৯৫ ভাগ টিকিট, ঈদকে ঘিরে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে আকাশপথে

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে মহাসড়কের পাশাপাশি যাত্রীদের চাপ বেড়েছে আকাশপথেও। ইতোমধ্যে এয়ারলাইনসগুলো অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৯৫ ভাগ টিকিট বিক্রি শেষ করে ফেলেছে।
অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীদের চাপ বেশি বেড়েছে ঢাকা থেকে যশোর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে। তবে এবার ভিন্নচিত্র কক্সবাজার রুটে। সাধারণত ঈদ ও ঈদের পরে কক্সবাজার রুটে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। করোনা সংকট ও লকডাউন পরিস্থিতির কারণে এবার কক্সবাজার রুটে তুলনামূলক চাপ কম।
আকাশপথে ১৯ ও ২০ জুলাই যাত্রীদের চাপ বেশি। ফিরতি যাত্রায় ২২ জুলাই যাত্রীদের চাপ সবচেয়ে বেশি। ঈদে আকাশপথে সর্বনিম্ন ভাড়া ৩ হাজার ৪০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, ঈদের পরের লকডাউন এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপের কারণে হিমসিম খাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে ৯৫ ভাগ টিকিট। যেগুলো এখনো বিক্রি হয়নি সেগুলোর দামও বেশি।
আগামী ২১ জুলাই সারাদেশে পালিত হবে ঈদুল আযহা। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই বিধি-নিষেধে আগামী ৫ আগষ্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটসহ অন্যান্য গণপরিবহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই হিসেবে ঈদের আগে চলাচলের জন্য মাত্র আট দিন সময় পেয়েছেন যাত্রীরা। যারা ঈদে রাজধানী ছাড়বেন তাদের ফিরতে হবে ঈদের পরদিনই।
এয়ারলাইন্সগুলো ২২ জুলাই পর্যন্ত যে ফ্লাইট সূচি ঘোষণা করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে তিনটি, সৈয়দপুরে তিনটি, কক্সবাজারে দুটি, যশোরে দুটি, সিলেটে দুটি, রাজশাহীতে একটি এবং বরিশালে একটি করে ফ্লাইট রয়েছে। বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের ফ্লাইট রয়েছে প্রতিদিন চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর ও যশোরে ছয়টি করে, বরিশালে চারটি, সিলেটে তিনটি, রাজশাহীতে তিনটি এবং কক্সবাজারে দুটি করে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ঘোষণা করেছে দৈনিক ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পাঁচটি, কক্সবাজারে দুটি, সৈয়দপুরে সাতটি, যশোরে ছয়টি, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীতে চারটি করে।
প্রতিবছরের নির্ধারিত সূচির বাইরেও যাত্রীদের চাপের মুখে ঈদের আগে আগে বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ পায় এয়ারলাইন্সগুলো। কিন্তু এবার করোনার কারণে আর তা হচ্ছে না।
একটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা বলেন, ১৯ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা থেকে যাওয়ার প্রায় সব টিকিট বিক্রি শেষ। ২০ ও ২১ জুলাইয়ের কিছু টিকিট রয়েছে। সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে যাত্রীদের চাপ বেশি। কক্সবাজারে পর্যটন নিষিদ্ধ থাকায় সেখানে স্বাভাবিক চাপ রয়েছে। চট্টগ্রামেও স্বাভাবিক সময়ের মতোই চাপ দেখা যাচ্ছে।