বড়লেখায় স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ রহিমা অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন

10

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ স্ত্রী রহিমা বেগম (২০)। বুধবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রহিমার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো। নিহত রহিমা বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দীর্ঘদিন থেকে রহিমা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলো৷ গত (৩ জুলাই) শনিবার সকালে ঘাতক স্বামী শিপন আহমদ সন্তানকে দেখেতে শ্বশুর বাড়িতে আসে। সন্তানকে দেখার বাহানায় প্রায়ই সে শ্বশুর বাড়িতে আসতো। রাতে থেকে পরদিন যেতো। সেদিনও সে রাতে থেকেছিলো। স্ত্রী রহিমা বেগম অন্য রুমে থাকায় ভোরের দিকে রহিমাকে তার কাছে ডেকে নেয়। অসুস্থ রহিমা তার কাছে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এই সুযোগে স্বামী শিপন আহমদ রহিমার শরীরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। রহিমার চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা রুমে গেলে সুযোগ বুঝে শিপন পালিয়ে যায়৷ পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে যান। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় সেখান থেকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়৷ পরে সেখান থেকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে ফের রহিমাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ দিন পর তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় দায়ের করা মামলায় রহিমার স্বামী অভিযুক্ত শিপন ও তার মা আনুরি বেগমকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। পরে সে আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিলে তাকে ও তার মাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে ও তার মা আনুরি বেগম কারাগারে আছেন। শিপন আরেঙ্গাবাদ গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে। এবং পেশায় মোটর সাইকেল ইঞ্জিনিয়ার।
এ বিষয়ে রহিমার ভাই রাজু আহমদ বলেন, ‘আমার বোনকে বাঁচাতে পারলাম না। শতচেষ্টা করেও বোনকে বাঁচানো গেলো না। আমরা বোনের ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই’।
বড়লেখা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘ রহিমা বেগম মারা গেছেন। এঘটনায় তার স্বামী শিপনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। ‘