১৪তম দিনের লকডাউনে নগরীতে মানুষজন ও যানচলাচল ছিলো স্বাভাবিক ॥ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ খুলছে গণপরিবহন ও দোকানপাট

6
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে গণপরিবহন চলবে তাই প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে চলছে ধোয়া মোছার কাজ। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
মহামারি করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারি করা ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের (বিধিনিষেধ) শেষ দিন নগরীতে গতকাল বুধবার মানুষজন ও যান চলাচল ছিলো ঢিলেঢালা বা স্বাভাবিক। গতকাল রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয় নতুন নির্দেশনার ৭ দিন। এই ৭ দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহন, খুলবে দোকানপাট-শপিংমল।
এদিকে,‘কঠোর লকডাউন’ শেষ হওয়ার আগেই (শেষের দিন) সিলেটসহ নগরীর সড়কগুলোতে রিকশা, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসের চাপ ছিলো। যানবাহনের চাপে কোথাও কোথাও যানজট লেগে যায়। অলিগলিতে খুলেছে দোকানপাট। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চলমান বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করে সরকার। এ সময় মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবার কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) থাকবে। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার ১৩ জুলাই আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদের আগে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতিমধ্যে বাস, ট্রেন, নৌযানসহ গণপরিবহন চলার ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী (যত আসন, তার অর্ধেক) নিয়ে চলবে এসব গণপরিবহন। কিন্তু ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের শেষ দিন বুধবার সিলেট নগরীর বেশীর ভাগ সড়কে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তবে বন্ধ থাকবে সরকারী অফিস আদালত।
গতকাল দুপুরের দিকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের বিগত দিনগুলোর তুলনায় রাস্তায় বুধবার বেশিসংখ্যক যানবাহন নেমেছে। লোকজন নানা জরুরি প্রয়োজনের অজুহাত দেখিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার কথা জানাচ্ছেন। দক্ষিণ সুরমা হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বর এলাকা, নগরীর বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজারে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতো যানচলাচল ও মানুষের ভিড় দেখা যায়।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন (বিধিনিষেধ) দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করেছিল। কিন্তু তারপরও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১ জুলাই থেকে সারা দেশে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বুধবার শেষ হলো। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলেও ঈদ ঘিরে বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।