বিয়ের প্রলোভনে যুবতীকে সংঘবদ্ধ গণধর্ষণ, ৪ লম্পট গ্রেফতার

6

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে এক যুবতীকে (২৫) কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগে মামলা দায়েরের পর ৪ লম্পটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে গতকাল বুধবার সিলেট মুখ্য বিচারিক হাকিম (এমএম-২)আদালতে এক আসামী ধর্ষণের দোষ স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। পরে তাদেরকে আদালতের নির্দেশে আসামীদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির।
ধর্ষণের শিকার হওয়া যুবতীর অভিযোগে জানা যায়, তাকে সিলেটের একটি চা বাগানের নির্জন স্থানে নিয়ে ৯ জন মিলে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। গতকাল বুধবার এ অভিযোগে এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ওই নারীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয় সিলেটের জামেদ আহমদ জাবেদের (৩৬)। আলাপের এক পর্যায়ে জাবেদ তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে প্রথমে ওই নারী আপত্তি জানালেও পরে জাবেদের কথায় বিশ্বাস করে রাজী হন। জাবেদের কথায় গত ১০ জুলই সন্ধ্যায় বাড়ি ছেড়ে তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে আসেন। সেখান থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জাবেদ তাকে খাদিমনগর বুরজান চা-বাগানের মরাকোণা টিলার উপর একটি ছাউনি ভিতর নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন ফয়সল আহমদ (২২), রাসেল আহমদ (২৪), জামিল আহমদ (২২) নামে তিনজন। এই চারজন ভয় দেখিয়ে ওই যুবতীকে উপর্যোপুরি ধর্ষণ করে। টানা তিন দিন তারা চারজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। জাবেদ তার মোবাইল ফোনসহ ব্যাগে ভর্তি কাপড় ও দরকারী কাগজপত্রও ছিনিয়ে নেন।
এজাহারে ওই যুবতী আরও অভিযোগ করেন, ১৩ জুলাই সকাল অনুমান ৬ টার দিকে রুবেল (২৫), ইমাম (২৫), ফারুক (২৩), মো. মোশাহিদ আহমদ (২৭) ও আবুল (২৬) নামে পাঁচ ব্যক্তি সেখানে যান। তখন জাবেদসহ অন্যরা ওই পাঁচ জনের কাছে তাকে সমজিয়ে দিয়ে চলে যান। এরপর ওই পাঁচ ব্যক্তি পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তাকে ফেলে সবাই চলে গেলে চা বাগানের ওই নির্জন স্থান থেকে বেরিয়ে আসেন ওই যুবতী। এরপর রাস্তায় একজন লোকের সহায়তায় নিজের খালাতো বোনকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানান।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে এয়ারপোর্ট থানায় এসে ওই যুবতী মৌখিক অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে বুরজান চা বাগান এলাকা থেকে জামেদ আহমদ জাবেদ ও মো. মোশাহিদ আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফয়সল আহমদ ও রাসেল আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। আশরাফউল্লাহ তাহের বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী গতকাল বুধবার এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামমলায় এই ৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অভিযুক্ত বাকী ৫ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, অভিযোগকারী যুবতীকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।