দোয়ারাবাজারে গ্রাম পুলিশকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান, বিচার দাবী

3

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার কর্তৃক এক গ্রাম পুলিশকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকালে উপজেলার বাংলাবাজারে বিচার চেয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ জামাল উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গ্রাম পুলিশ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গত এক বছর ধরে চেয়ারম্যানের অধীনে গ্রাম পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি উপজেলার বাঁশতলা হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধের রেস্ট হাউজে। নিয়োগ পাওয়ার আগে আমি আরো ৩ বছর বিনা বেতনে গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব পালন করি। গত এক বছর ধরে দায়িত্ব পালনকালে সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও চোরাচালান বন্ধে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। চেয়ারম্যানের বাড়িও ওই এলাকায় হওয়ায় চোরাচালান ও অপরাধের খবরাখবর প্রশাসনের কাছে জানালে চেয়ারম্যান আমার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং আমাকে এসব তথ্য দিতে বাধা নিষেধ করেন।
সম্প্রতি গভীর রাতে আমি ডিউটি পালনকালে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ কলোনী গ্রামের আশক আলীর পুত্র চোরাই কারবারী খাদিমের নেতৃত্বে চেয়ারম্যানের কিছু লোক মদ্যপ হয়ে রেস্ট হাউজের দরজায় কড়া নাড়ে এবং মাতাল অবস্থায় রেস্ট হাউজে প্রবেশের চেষ্টা করে। এতে আমি বাধা দেওয়ায় পরেরদিন (১০ জুলাই) শনিবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার আমাকে প্রকাশ্যে কিল ঘুসিসহ বেধড়ক মারপিট ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। চিকিৎসা শেষে এই ঘটনার বিচার চেয়ে আমি দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের দারস্থ হলে পুলিশ প্রশাসন আমার কোনো অভিযোগ আমলে নেয়নি উল্টো চেয়ারম্যানের সাথে মিলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন জলে থেকে কুমিরের সাথে লড়ে পারবানা। ঘটনার পরে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও আমি কোনো বিচার পাইনি। আমি কেন মানুষের কাছে বিচার দিচ্ছি এইজন্য চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার উল্টো আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছেন। আমি বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি এবং প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরে জানাব।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, ‘গ্রাম পুলিশ আমাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’