সংবাদ সম্মেলনে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ॥ নৌ পুলিশের মামলায় আসামী আওয়ামীলীগ নেতারা

5
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন ছাতক পৌর আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও সুনামগগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি বাবুল রায়।

স্টাফ রিপোর্টার :
ছাতকে নৌ পুলিশ ও বালু উত্তোলনকারী শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মহলের যোগসাজেশে জনপ্রতিনিধি, পৌর আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও নিরীহ মানুষকে আসামী করে হয়রানি করা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজারে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পৌর আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পৌর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর আওয়ামীলীগের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি বাবুল রায়। এসময় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৪ জুলাই সন্ধ্যায় ছাতক উপজেলার চেলা নদী ও মরা চেলা নদী বালু মহালের সৈদাবাদ এলাকায় নৌকা শ্রমিক ও নৌ পুলিশের মধ্যে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাতক নৌ পুলিশ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনকে আসামী করে ছাতক থানায় একটি মামলা নং-৩(০৬.০৭.২১) দায়ের করে। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাদি পক্ষের আরেক নৌ পুলিশকে।
‘কিন্তু আশ্চর্য্যরে বিষয় হচ্ছে মামলায় ছাতক পৌরসভার জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচিত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এবং পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাপস চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ানে আসামী করা হয়েছে। যা ছাতক নৌ পুলিশের চাঁদাবাজির বিষয়টি ধামাচাপার প্রচেষ্টা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, ‘ছাতকের সুরমা নদীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ চাঁদাবাজীর বিষয়টি সর্বজন স্বীকৃত। এই চাঁদাবাজীর সাথে ছাতক নৌ পুলিশের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও এখানে ওপেন সিক্রেট। নৌপথে সংঘটিত সকল প্রকার বে-আইনী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নৌ পুলিশকে সক্রিয় থাকার বদলে এখানে তারা নির্বিকার। যে কারনে ছাতকের নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ না হয়ে দিনদিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। একের পর এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে চলেছে। গত ৪ জুলাই রাতের ঘটনাও তার একটি অংশবিশেষ। ওই দিনের ঘটনায় জড়িতদের বাদ দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শহরের ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতাদের আসামী করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, কাউন্সিলর তাপস চৌধুরীসহ তার সমর্থক এলাকার রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীগণকে আসামী করার পেছনে গত পৌরসভা নির্বাচনে তাপস চৌধুরীর বিরোধীতাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজচক্রের ভূমিকা রয়েছে। তারা তাকে শায়েস্তা করার ষড়যন্ত্র হিসেবে এ মামলায় জড়িয়েছে।
ছাতক পৌর আওয়ামীলীগ নিরপেক্ষ সংস্থা কর্তৃক মামলাটি তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত হলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে এবং নিরাপরাধ ব্যক্তিরা মামলার দায়-হয়রানি থেকে অব্যাহতি পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আশিক আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত মোহাম্মদ লাহিন, পৌর আওয়ামীলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক চান মিয়া চৌধুরী ও আনিসুর রহমান চৌধুরী সুমন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদ, মিনহাজুর রহমান তাপস, ইশতিয়াক তানভীর, আলমগীর আলম, কামাল উদ্দিন, সাইফুদ্দিন প্রমুখ।