কান্দিগাঁওয়ে বিয়ের বাজারের কথা বলে অটোরিক্সায় যুবতীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, ২ লম্পটকে কারাগারে প্রেরণ

2

স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীতে বিয়ের বাজারের কথা বলে সিএনজি অটোরিক্সায় এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে জালালাবাদ থানার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নীলগাঁও পুঁটিকাটা ব্রিজে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি নাজমুল হুদা খান।
মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া শাখা জানায়, ঘটনার ৩ দিন আগে জালালাবাদ থানার ইসলামপুর মানসিনগর গ্রামের কাপ্তান মিয়ার পুত্র তাজ উদ্দিনের (২২) মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় ওই যুবতীর (৩১)। পরে সেই যুবতীকে সে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাজ উদ্দিন গত সোমবার ১৪ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিয়ের বাজার করবে বলে বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। তাজ উদ্দিনের কথামতো ওই যুবতী বাড়ি থেকে বের হয়ে তাজ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তাজ উদ্দিন ওই যুবতীকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে জালালাবাদ থানার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নীলগাঁও পুঁটিকাটা ব্রিজে নিয়ে গিয়ে অটোরিক্সার ভেতরেই ওই যুবতীকে ধর্ষণ করেন। এসময় তাজ উদ্দিনের ২ সহযোগী জালালাবাদ থানার ইসলামপুর মানসিনগর গ্রামের রজন মিয়ার ছেলে এখলাছুর রহমান (২৭) ও একই থানার নলকট গ্রামের ফুল মিয়াও (২৭) ওই যুবতীকে ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষকরা অটোরিক্সাযোগে ভিকটিমকে নগরীর দিকে নিয়ে আসতে থাকেন। এ সময় ওই যুবতীর কান্না শুনে নীলগাঁওয়ের স্থানীয়রা সিএনজি অটোরিক্সা আটকে যুবতীর মুখ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনে তাজ উদ্দিন ও এখলাছুর রহমান আটক করেন। তবে অটোরিক্সা চালক ফুল মিয়া পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা জালালাবাদ থানায় খবর দিলে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম এবং তাজ উদ্দিন ও এখলাছুর রহমানকে আটক করেন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ওই যুবতী জালালাবাদ থানায় মামলা (নং-১০) দায়ের করেন।
ভিকটিমকে পরে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে প্রেরণ করে পুলিশ। আটক আসামিদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান জানান।