দোয়ারাবাজারে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ী হত্যা ॥ পরকীয়ার জেরেই খুন হন নূর আলম, আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি

11

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে হোটেল ব্যবসায়ী নুর আলম (১৮) কে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কারণেই হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া আসামি কামরুল ইসলাম (২১) সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল আহমদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আসামি কামরুল ইসলাম (২১) উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের গুলফত আলীর ছেলে।
নূর আলম হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া অপর আসামি একই ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের আব্দুস সত্তারের ছেলে সুজন মিয়া (৪০), তার স্ত্রী রুবিনা বেগম (২২), একই গ্রামের মমশর আলীর দুই ছেলে ওসমান গনি(৩০) ও ওমর গনি (২৫) এর রিমান্ড চেয়ে রবিবার বিকালে সুনামগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
নিহত নূর আলম সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের দর্পগ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাংলাবাজারে (লিয়াকতগঞ্জ) রেস্তোঁরা পরিচালনা করতেন। পরিবারসহ সেখানেই বসবাস করতেন তিনি।
এদিকে শনিবার সকালে ছাতক থানা পুলিশের সহায়তায় হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে কামরুল ইসলামকে সিলেটের কদমতলী এবং অন্যদের উপজেলার লক্ষ্মীপুর থেকে আটক করা হয়। আসামি কামরুল ইসলাম আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, আসামি সুজন মিয়ার স্ত্রী রুবিনা বেগমের সাথে নিহত ব্যবসায়ী নুর আলমের দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নুর আলমকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করায় নুর আলম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।পরে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে গ্রামের পাশের একটি জমিতে তার লাশ ফেলে দেয়া হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার নূর আলমের লাশ উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার তার বড় ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দোয়ারাবাজার থানার নব নিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।