বালাগঞ্জে ইটভাটার ম্যানেজার হত্যার মালিক-ম্যানেজার সহ ঘটনায় ৩ জন রিমান্ডে

13

বালাগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বালাগঞ্জে গহরপুরে ইটভাটার ব্যবস্থাপক আলোচিত ধীরাজ পাল (৬০) হত্যা মামলায় ইটভাটার মালিকসহ তিনজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার (৩১ মে) দুপুরে বালাগঞ্জের ভার্চুয়াল আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন, ইটভাটার মালিক ও ক্যাশিয়ার মেরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ইটভাটার ব্যবস্থাপক নিহত ধীরাজ পালের সহকারী সুহেদ ও সিএনজি অটোরিকশা চালক রুবেল। এই তিনজনকে ধীরাজ পাল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতার ও রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও ধীরাজ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালাগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) পিঙ্কু চন্দ্র দাস।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, নিহতের বড় ছেলে প্রভাকর পাল বাপ্পা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ওসি আরও বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। ক্লু উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুরে বালাগঞ্জের গহরপুর রতনপুর ব্রিকফিল্ডের ব্যবস্থাপক ধীরাজ পালকে তার কর্মস্থলে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এরপর দুর্বৃত্তরা ব্রিকফিল্ডের টাকাপয়সা লুট করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা ধীরাজ পালকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করে। পরে শনিবার দুপুরে ধীরাজের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং ওইদিন বিকেলে মরদেহের সৎকারের করা হয়। এরপর রাতে ধীরাজের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, জড়িতদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ৩০ মে দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকাবাসী। মানববন্ধন পরবর্তী সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে অবরোধ করেন তারা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধকালে র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলাম ও মোগলাবাজার থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। এছাড়া পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন মোবাইল ফোনে একই আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ তুলে নেন।