ধীরাজ হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ

9
বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুরে ইটভাটার ব্যবস্থাপক ধীরাজপালকে হত্যার প্রতিবাদে নগরী দক্ষিণ সুরমার বিভাগীয় অফিসের সামনে সড়ক অবরোধ।

বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুরে ইটভাটার ব্যবস্থাপক ধীরাজ পালকে হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে নিহতের বড় ছেলে প্রভাকর পাল বাপ্পা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বালাগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এই হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার, সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে রবিবার দুপুরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে আলমপুর এলাকাবাসী। প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই অবরোধে নগরের ২৭ নং ওয়ার্ডের তিন শতাধিক লোক অংশ নেন।
ধীরাজ পাল দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানাধীন আলমপুর এলাকার মৃত দিজেন্দ্র পালের ছেলে।
এদিকে, সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান। এরআগে শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। আর পুলিশ এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবেদের জন্য ৭ জনকে আটক করেছে।
ধীরাজ পাল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার (৩০ মে) দুপুর ১২টায় টায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে তারা। পরে পুলিশ ও ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের গ্রেফতারের আশ^াস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ প্রত্যাহার করে।
এদিকে, অবরোধের কারণে ব্যস্ততম এই সড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
অবরোধ শেষে ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন এর সাথে সাক্ষাৎ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান। এ সময় ডিআইজি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ^াস দেন।
অবরোধ চলাকালে র‌্যাব-৯এর অধিনায়ক আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলাম ও মোগলাবাজার থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এই হতৗার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের আশ^াস দেনর। এছাড়া পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ মোবাইল ফোনে একই আশ^াস দিলে বিক্ষোব্দ জনতা অবরোধ তুলে নেন।
অবরোধ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজম খান, ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইরান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সয়েফ খান, সহ সভাপতি আব্দুল মন্নান , ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গোলজার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, কৃষক লীগ নেতা শামীম কবির, গোটাটিকর ব্রাদার্স ক্লাবের সভাপতি বাবর আহমদ, সমাজসেবী নাজিম উদ্দীন, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য আব্দুল হাছিব, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী রিকন পাল, পিনাক দে পটল, জাহাঙ্গির আলম, নিহতের ভাতিজা দিপংকর তালুকদার টিপু, জোবায়ের আহমদ, সরোয়ার আহমদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ মো আদিল, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ ২২ নং ওয়ার্ড ও কুচাই ইউনিয়নরে বিভিন্ন এলাকার তিনশতাধিক মানুষ।
এ সময় কাউন্সিলর আজম খান ধীরাজ হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, এমন ঘটনায় পুরো এলাকাবাসী ক্ষুব্দ। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। এখন পর্যন্ত এই হত্যার কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আমরা দ্রুততম সময়ে হত্যা রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। বিজ্ঞপ্তি