বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, আটক চার

9
আটক চার ধর্ষণকারী।

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে এক তরুণের সঙ্গে প্রেম করে প্রতারিত হয়ে চারজনের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে থানাপুলিশ।
শনিবার (২২ মে) দিবাগত রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার গন্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা নামক একটি টিলার পাশের জঙ্গলের ভিতর থেকে ভিকটিম উদ্ধার ও চার ধর্ষককে আটক করে পুলিশ।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. লুৎফর রহমান জানান, শনিবার দিবাগত রাতে গোলাপগঞ্জের গন্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা নামক স্থানে টিলার পাশে জঙ্গলের ভিতর একটি মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে খবর দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় খবর দিলে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম (২০), দক্ষিণ কান্দিগাঁও গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে রাজন আহমদ (২২), খালপাড় গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে শিপন আহমদ (১৯) ও শাহপরান থানাধীন পীরের চক গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আক্তার হোসেন (২৩)।
জানা যায়, শনিবার প্রেমিক আব্দুক হাকিম তরুণীর সাথে যোগাযোগ করে দেখা করার জন্য মুরাদপুর বাজারে আসার জন্য বলে। এরপর রাতে তরুণী মুরাদপুর বাজারে গেলে একটি সিএনজি অটোরিক্সাযোগে তরুণীকে নিয়ে গণ্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা নামক টিলার পাশের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার পর প্রেমিক আব্দুল হাকিম বন্ধুদের ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসার কথা বলে। আব্দুল হাকিমের ফোন পেয়ে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে আসে এবং ওই তরুণীকে সবাই জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ সময় ধর্ষিতা তরুণীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে খবর দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় খবর দিলে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ। পরবর্তীতে ভিকটিম বাদি হয়ে এজাহার দায়ের করলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একটি গণধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার হারুনর রশীদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি (মামলা নং- ২৩) দায়ের করা হয়েছে এবং রবিবার বিকেলে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।