ডেলটা প্লান বাস্তবায়নে অর্থের যোগান নিশ্চিত নয়

11

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সরকারের শতবর্ষী ডেলটা প্লান ২১০০ বাস্তবায়নে প্রতিবছর প্রয়োজন হবে মোট দেশজ আয়ের দুই শতাংশ। কিন্তু কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার বরাদ্দ দিচ্ছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। বাকি ১ দশমিক ২ শতাংশ কোন উৎস্য থেকে আসবে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
কাজটি কঠিন হবে বলে মনে করেন সরকার সংশ্লিষ্টরা। তারা আরও মনে করেন, অতিরিক্ত অর্থ সংস্থানে সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং ডেলটা প্লান ২১০০-এর সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের বিষয়ে যে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে তার সঙ্গে কিছু সৃজনশীল প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে। সরকারের শতবর্ষী ডেলটা প্লানে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
‘বিনিয়োগ ব্যয় পুনরুদ্ধার’ নীতিতে জোর দেওয়া হচ্ছে
শতবর্ষী ডেলটা প্লানে বলা হয়েছে, এর বিভিন্ন কল্পদৃশ্যে বর্ণিত জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের বিপরীতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ সামগ্রিক সরকারি বিনিয়োগ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। কর বাবদ পাওয়া অর্থ ও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে আহরিত অর্থ এবং গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডসহ বৈদেশিক অর্থায়নের সমন্বয়ে সরকারি তহবিলের যোগান কৌশল নির্ধারিত হয়েছে।
জানা গেছে, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগে সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে ‘বিনিয়োগ ব্যয় পুনরুদ্ধার’ নীতি প্রয়োগে জোর দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, ডাচ ডেলটার কথা বলা হয়। যাতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ, পানি সরবরাহ পয়ঃনিষ্কাশন, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ নীতির মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়।
পরিকল্পনা কমিশন পাঁচ বছর পর পর পুরো ডেলটা প্লানের তথ্য হালনাগাদ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শামসুল আলম জানিয়েছেন, ‘ডেলটা প্লান বাস্তবায়নে কতো টাকা খরচ হতে পারে, তারও একটি ধারণা দিয়েছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। এই মোতাবেক কাজ এগিয়ে নিলেই শতবর্ষী এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অসম্ভব নয়।’