ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করা যাবে আরও তিন বন্দর দিয়ে

18

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা আরও তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। এই বন্দর তিনটি হচ্ছে- কুষ্টিয়ার দর্শনা, দিনাজপুরের হিলি ও রাজশাহীর সোনামুখী বন্দর। তিন বন্দর দিয়ে প্রবেশের সিদ্ধান্ত আগামী রবিবার (১৬ মে) থেকে কার্যকর হবে।
বুধবার (১২ মে) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দেশে প্রবেশে সুবিধা দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশের সুবিধা ছিল। এখনও পর্যন্ত বেনাপোল দিয়ে ৩ হাজার ৭৭ জন এবং আখাউড়া দিয়ে প্রায় ১৫০ জন দেশে এসেছেন। এছাড়া বুড়িমারী দিয়ে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ দেশে এসেছেন বলে তিনি জানান।
মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘বেনাপোল দিয়ে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবেশ করায় যশোর ও আশপাশের জেলাগুলোতে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে নতুন তিনটি বন্দর দিয়ে বাংলাদেশিরা প্রবেশ করলে ওই জেলাগুলোতে সুষ্ঠু কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা করা সম্ভব।’
উল্লেখ্য, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করতে হবে।
মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে দেশে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য সবধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
আগামী ২৩ মে পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের পর আমরা গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।’
প্রসঙ্গত, ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে সীমান্ত বন্ধ থাকলেও স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের সাপ্লাই চেইনে কোনও অসুবিধা না করে কীভাবে ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করা যা, সেটি করার চেষ্টা হচ্ছে।
প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। নির্দেশনানুযায়ী, ট্রাক প্রবেশের আগে ভালো করে জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে। শুধুমাত্র ড্রাইভার প্রবেশ করবেন। ড্রাইভার একান্ত বাধ্য না হলে গাড়ি থেকে নামবে না। ড্রাইভার খাবার নিয়ে প্রবেশ করবেন। যদি ড্রাইভারের নামার প্রয়োজন হয়, তবে তার জন্য পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ভারতের ট্রাককে যদি রাতে বাংলাদেশে অবস্থান করতে হয়, তবে ড্রাইভার ফেরত যাবেন এবং পরের দিন পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে ট্রাক ফেরত নিয়ে যাবেন। একই নিয়ম বাংলাদেশের ট্রাকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য তবে।