এক বছর পিছিয়ে গেলো নতুন শিক্ষাক্রম

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হচ্ছে না। এর পরিবর্তে ২০২২ সালে প্রাক-প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে অনলাইনে এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০২২ সালে মাধ্যমিক স্তরের ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রমের কাজ শুরু হবে। এরপর ২০২৩ সালে এই দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন শিক্ষাক্রমের বই তুলে দেবে সরকার।
আর প্রাথমিকে ২০২২ সালে প্রথম শ্রেণিতে ১০০টি প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হবে এবং পরের বছর এই শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর হাতে বই দেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনসিটিবি জানায়, সাধারণত পাঁচ বছর পরপর শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। সবশেষ ২০১২ সালে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করেছিল সরকার।
চলতি বছরে কয়েকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে বই পাবে বলে এর আগে জানিয়েছিল দুই মন্ত্রণালয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়।
পরে বলা হয়, আগামী বছর থেকে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি; মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বই পাওয়ার কথা ছিল। আর ২০২৩ সালে অষ্টম শ্রেণি ও ২০২৪ সালে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমের বই দেওয়ার কথা। এরপর উচ্চ মাধ্যমিকের বই দেওয়ার কথা জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।