ছাতকে শিশু অপহরণের ৬ ঘন্টার মধ্যে নোহা গাড়ীসহ ভিকটিম উদ্ধার, অপহরণকারী আটক

26
ছাতকে আটক অপহরণকারী ও উদ্ধারকৃত শিশু।

আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ থেকে অপহৃতা শিশু হালিমা নুশরাত উর্মিলা (৫)কে মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যে সিলেট থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় অপহরনকারী রুকন আহমদ(২৮) কে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়।
অপহৃতা শিশু হালিমা নুশরাত উর্মিলা উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সুহিতপুর গ্রামের মকরম আলী মকনের কন্যা এবং গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ভিপি, আওয়ামীলীগ নেতা আওলাদ আলী রেজার ভাতিজি।
জানা যায়, সোমবার সকাল প্রায় ১০টার দিকে একটি নোহা গাড়ী (নং-ঢাকা মেট্রো- চ – ৫৩-১২১৫) যোগে পরিবারের লোজনদের সাথে উর্মিলা গোবিন্দগঞ্জের আসে। গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে এবং উর্মিলাকে গাড়িতে রেখে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে দোকানে যান পরিবারের লোকজন। একটু সময় পাওয়ায় গাড়ি চালক পাশের ডাচবাংলা ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলতে যায়। এ সময় শিশু হালিমা নুশরাত উর্মিলা গাড়িতে একাই ছিল। এ সুযোগে ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের কুটি মিয়ার পুত্র অপহরনকারী রুকন আহমদ চালক সেজে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। পরে চালক ও উর্মিলার পরিবারের লোকজন যথাস্থানে গাড়ি না পাওয়ায় চারিদিকে হৈ-ছৈ পড়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক পুলিশকে অবগত করা হলে মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যে সিলেট নগরীর গোটাটিকর এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ভাড়া দেয়া বাসা থেকে শিশু উর্মিলাসহ অপহরনকারী রুকন মিয়াকে আটক করে পুলিশ। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান পিপিএম ও এসআই মুহিন উদ্দিন। প্রায় ৬ ঘন্টার রুদ্রধার অভিযানে অপহৃত শিশু উর্মিলাকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারী রুকন মিয়া গোটাটিকর এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার একটি বাসার ভাড়াটে। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।