লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বৃদ্ধি

16

স্টাফ রিপোর্টার :
লকডাইনের চতুর্থ দিনে সকাল থেকে সিলেট নগরীতে রাস্তাঘাটে মানুষের আনোগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৩ দিনের তুলনায় গতকাল শনিবার শহরের মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নগরীর অলিগলিতে বাড়তে শুরু করে রিকশা, অটোরিকশা (সিএনজি), প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ পণ্যবাহী ট্রাক। একই সাথে দোকানপাঠের সাটার খোলাও দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার দুপুরে নগরীর রিকাবীজার, নগরীর মিরের ময়দান, মেডিক্যাল রোড, সুবিদবাজার, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, তালতলা ও দক্ষিণ সুরমার কদমতলী স্বাভাবিক দিনের তুলনায় মানুষ ছিল কিছুটা কম। ফুটপাতে ভাসমান ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে বসলেও টহলরত পুলিশ তাদেরকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। জিন্দাবাজারের সমবায় ভবনের সামনের গলিতে দেখা যায় বেশ কয়েকটি দোকানের সাঁটার অর্ধেক নামানো। সেগুলোর সামনে টুল নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তাদের মধ্যে অনেকেই মানছেন না সামাজিক দূরত্ব ও মুখে মাস্ক নেই। একই অবস্থা ছিল নগরীর মহাজনপট্টি এলাকা। জিন্দাবাজারের সমবায় ভবন ও তার আশপাশ এলাকায় ছিল ভাসমান হকারদের বেচাকেনা।
এছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বসানো ছিলো চেকপোস্ট। সেগুলোতে অভিযানও চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। সরকারের নির্দেশনা না মেনে যারা বের হয়েছে তাদেরকে পুলিশ কোনভাবেই ছাড় দিচ্ছে না। এমনকি তাদেরকে সর্তক করেও দিতে দেখা যায়।
এদিকে লকডাউনের ফলে নিম্নশ্রেণী ও মধ্যবিত্তদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইফতারি ও অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু সিলেটে লকডাউনের প্রথম দিন থেকে সকাল-দুপুর মানুষের উপস্থিতি কম হলেও বিকেলের দিকে নগরী ও জেলার বিভিন্ন বাজারে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করার মতো।
চলমান লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা না মেনে বাহির হওয়ার কারণে তাদেরকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কোন সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশ তাদেরকে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। এছাড়া নির্দেশনা না মানায় সিএনজি অটোরিক্সা ও রিক্সা থেকে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয় পুলিশ।