লকডাউন ভেঙ্গে আঞ্চলিক সড়কে চলছে বাস, টাউন বাস চলছে নগরীর বাইরে

8
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন চলছে দেশে। সিলেট সহ সবকটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বেশ কয়েকটি নির্দেশনা মেনে চলাচলের অনুমতি দেয়া গণপরিবহনকে। দেড় গুণ ভাড়ায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ি ছাড়ে নগর এক্সপ্রেস ও দুজন যাত্রী মাস্ক থুতনীতে রেখে বসে রয়েছেন গাড়িতে। ছবিটি নগরীর বন্দরবাজার এলাকা থেকে তোলা। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
লকডাউন ভেঙ্গে ঠাসাঠাসি যাত্রী বহন করে সিলেটের আঞ্চলিক সড়কে চলছে বাস। এসব সড়কগুলোতে লকডাউন নেই বললেই চলে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ ও সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আসনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করছে বাসগুলো। এছাড়া আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। তবে পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলছেন, প্রশাসন বাধা না দেয়ায় মালিক-চালকরা নিজেদের দায়িত্বে জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার সড়কে স্বল্প সংখ্যক বাস নামিয়েছেন।
সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতিকে পুঁজি করে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বুধবার সকালে জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের উদ্দেশ্যে বাস চলাচল শুরু হয়। লকডাউনের আগে করোনা পরিস্থিতিতে দুই আসনে একজন যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দেয়া হলেও বাসগুলোতে আসনের চেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। কোনো কোনো বাসে দাঁড়িয়ে ঠাসাঠাসি করেও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
এদিকে যাত্রীরা অভিযোগ করে বলছেন- অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৬০ ভাগ বেশি আদায় করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। লকডাউনের শুরুতে সারাদেশে সবধরণের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী গতকাল বুধবার থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা দেন। এই নির্দেশনাকে পুঁজি করে সিলেট-জকিগঞ্জ ও সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের বাস মালিকরা তাদের বাস রাস্তায় নামান।
তবে পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলছেন, রাস্তায় বাস চলাচল করলেও কেউ তাদেরকে বাধা দিচ্ছে না। তাই স্বল্পসংখ্যক বাস জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার সড়কে চলাচল করছে।
সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়ায় স্বল্প সংখ্যক মালিক-চালক তাদের বাস জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার সড়কে নামিয়ে দিয়েছেন। রাস্তায় বাস চলাচলে প্রশাসন বাধা দিচ্ছে না। তবে যারা বাস চালাচ্ছেন, তারা তাদের নিজ দায়িত্বেই রাস্তায় নেমেছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে গণপরিবহন রাস্তায় না নামানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অপর দিকে নির্দেশনা অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে যাত্রী পরিবহন করছে নগর এক্সপ্রেস (টাউন বাস)। যাত্রীদের কাছ থেকে আদায়ও করা হচ্ছে বেশি ভাড়া। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তারা আগের রুটেই যাত্রী পরিবহন করছেন। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে সিলেটে টাউন বাস চলাচল শুরু করে। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে টাউন বাস সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরেও যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক সিট খালি রেখে যাত্রী পরিবহনের কারণে ৬০ ভাগ ভাড়া বেশি নেওয়ার কথা থাকলেও টাউন বাস অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।