লকডাউন ঘোষণার পরপরই নিত্যপণ্যের বাজারে ভিড়, নগরীতে ব্যাপক যানজট

2

স্টাফ রিপোর্টার :
লকডাউন ঘোষণার পরপরই সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, কালিঘাট, কাজিরবাজার আম্বরখানা, রিকাবীবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো নিত্যপণ্য কেনার ধুম পড়ে। হাট-বাজার-দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আজ সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু হবে- সরকারের ঘোষণার পরই সিলেটে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাজনপট্টি হয়ে কালিঘাট আর হর্কাস মার্কেট হয়ে কালিঘাট মালবাহী যানবাহনের ফলে পা ফেলার জায়গা নেই। ৭ দিনের লকডাউনকে সামনে রেখেই সাধারণ ক্রেতা নয়, খুঁচরা ব্যবসায়ীদের মওজুদ প্রক্রিয়া শুরু করেন। ফলে দিনভর যানজটে পড়ে পুরো নগরী। গত শনিবার শুরু হয় তোড়জোড়। গতকাল রবিবার ভয়াবহ অবস্থা ছিল কালিঘাটে। লকডাউনের পাশাপাশি আসন্ন রমজানকেও সামনে রেখে নগরীতে আরো ভিড় ভেড়ে যায়।
এর প্রভাবে বন্দরবাজার, কোর্ট পয়েন্ট, সোবহানীঘাট পয়েন্ট, নাইওরপুল, কিনব্রিজ মোড়, দক্ষিণ সুরমা হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বর, কদমতলী, শাহজালাল (নতুন) ব্রীজ, মেন্দিবাগ পয়েন্টসহ সংলগ্ন এলাকাগুলোতে অনেকক্ষণ ধরে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মোট কথা সিলেট মহানগর জুড়ে গতকাল ছিল তীব্র যানজটের নগরী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, লকডাউনের খবরে নগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন বাজারে আতঙ্কের কেনাকাটা শুরু হয়। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে ভিড় করেন। কেউ কেউ একসঙ্গে বাড়তি পরিমাণ পণ্য কিনে ঘরে নিয়ে যান।
কয়েকজন দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের আভাস পাওয়ার পরই অনেক মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মজুদ শুরু করেন। তবে বেশিরভাগ মানুষ সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য- চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু কিনে নিয়ে যান। গত শনিবার দুপুরের পর নগরীর শপিংমলগুলোতেও নারী-পুরুষের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। জানা গেছে, লকডাউনের খবরে টুকটাক ঈদের কেনাকাটাও সেরে ফেলেছেন কেউ কেউ।
এদিকে, হঠাৎ বাজারে ক্রেতার চাপ বেড়ে যাওয়াতে চাল, ডালসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য পণ্যে কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা করে বেশি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।