যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র শবে বরাত পালিত ॥ করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা

17
পবিত্র শবে বরাত এর রাতে দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নফল ইবাদত বন্দেগি। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের ন্যায় সিলেটেও মুসলিম সম্প্রদায়ের সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। নগরীসহ সারা সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় গত সোমবার সন্ধ্যা নামার পর থেকেই নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন। অনেকে আবার শবে বরাত উপলক্ষে নফল রোজাও রাখেন।
ওইদিন এশার ও ফজরের নামাজের পরে প্রতি মসজিদে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। করোনা ভাইরাসের জন্য গত শবে বরাতে সরকারি বিধি নিষেদের জন্য সিলেটের মসজিদগুলোতে মুসল্লি সমাগম কম ছিলো। তবে এবারে সিলেটের শাহজালাল মাজার মসজিদ এবং নগরীর বড় বড় মসজিদসহ সকল মসজিদে ছিলো মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।
এদিকে শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষায় সহিংস ঘটনা এড়াতে সিলেট মহানগরী জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা গড়ে তুলে আইন শৃংখলা বাহিনী।
জানা গেছে, করোনা মহামারি উপেক্ষা করে সিলেটের বিভিন্ন মসজিদে জড়ো হন মুসল্লিরা। রাতব্যাপী কবর জিয়ারতের জন্য সিলেটের দুই ওলির মাজারে মানুষের উপচেপড়া ভিড় করেন। সন্ধ্যা থেকে হযরত শাহজালাল (রহ.), হযরত শাহপরান (রহ.) মাজারে নামাজ পড়া ও জিয়ারত করতে আসেন অনেকেই। এশার নামাজ আদায়ের পর লোকজন দলে দলে গিয়ে হযরত শাহজালাল (রহ.), শাহপরান (রহ.)সহ বিভিন্ন অলীদের মাজার ও কবর জিয়ারত করছেন। শবে বরাত উপলক্ষে মসজিদ ও মাজারগুলোর সামনে বসে আতর, টুপি, সুরমা, জায়নামাজ, তসবিহ, ধর্মীয় বই-পুস্তিক, আগরবাতি, মোমবাতি, ফুলঝরির পসরা। স্থানীয় দোকানগুলোর পাশাপাশি ভাসমান দোকানিরা এসব উপকরণ নিয়ে বিক্রির জন্য বসেছেন। এশার নামাজ আদায়ের পর বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা রাত জেগে এবাদত বন্দেগীর করার ফজিলত নিয়েও খতিবগণকে বয়ান পেশ করতে শোনা যায়। শবে বরাতের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি খতমে কোরআন, মিলাদ, কিয়াম, জিকির, তাহাজ্জুতসহ বিভিন্ন ধরনের নফল নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বয়ানে উল্লেখ করা হয়।
ফজর নামাজের শেষে আখেরি মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে বিশ্বের সকল মানুষকে মহামারী করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ও অসুস্থদের শিফা দান করার জন্য প্রার্থনা করা হয়। সিলেটসহ গোটা মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি ও দেশের সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।