১০ দিনব্যাপি বইমেলার উদ্বোধনকালে মেয়র আরিফুল হক ॥ কেমুসাসের বইমেলা সিলেটের এক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত

9
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের চতুর্দশ বইমেলার ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

উৎসবমুখর পরিবেশ ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হল কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের চতুর্দশ বইমেলা। মুজিব শতবর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্বাধীনতার বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত বইমেলা আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় সংসদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কেমুসাসের বইমেলা আজ সিলেটের এক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। গত তেরোটি বইমেলা সফল আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবারের বইমেলাও পাঠক সমাজের কাছে নন্দিত হবে। তিনি বলেন, সাহিত্য সংসদ কর্তৃপক্ষ চাইলে সিটি কর্পোরেশন সুরমা নদীর তীরবর্তি এলাকা জুড়ে সংসদকে বৃহৎ পরিসরে মেলা আয়োজনের সুযোগ করে দেবে। বইমেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক গবেষক অধ্যাপক নন্দলাল শর্মার সভাপতিত্বে ও বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব আব্দুল মুকিত অপি এডভোকেট-এর পরিচালনায় সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গবেষক আবদুল হামিদ মানিক বলেন, আলোকিত সমাজ গঠনে বইয়ের কোন বিকল্প নেই। কেমুসাসের বইমেলা সিলেটে মননশীলতার চর্চায় দীর্ঘদিন যাবত অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তিনি মেলার সফল আয়োজনে সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা বলেন, লাইব্রেরির সঙ্গে বইমেলা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রাচীন গ্রন্থসম্ভার নিয়ে সাহিত্য সংসদের পাঠাগার দেশ বিদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। কেমুসাসের বইমেলাও দিনে দিনে এর গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যাপ্তি বাড়িয়ে চলেছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান চৌধুরী এডভোকেট, সহসভাপতি মোঃ আবুল কালাম খান (কালাম আজাদ), সহসভাপতি সৈয়দ মুহাদ্দিস আহমদ, সহসভাপতি অধ্যাপক দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, কার্যকরি পরিষদ সদস্য আফতাব চৌধুরী, সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুমিন আহমদ মবনু, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সাদেক লিপন এডভোকেট, সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস, সহ-লাইব্রেরি সম্পাদক ইছমত হানিফা চৌধুরী, কার্যকরি পরিষদ সদস্য জগলু চৌধুরী, কার্যকরি পরিষদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের, কার্যকরি পরিষদ সদস্য বেলাল আহমদ চৌধুরী, কার্যকরি পরিষদ সদস্য মাহবুব হোসেন, বইমেলা উপকমিটি ২০০৯-এর সদস্যসচিব মো. জাহেদুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল হক, সুমনকুমার দাশ, রাজীব চৌধুরী, মো. ফয়জুল হক, সালমান ফরিদ, আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না, লিপি খান, বিনতা দেবী, সেলিনা আক্তার জনি, আলেয়া রহমান, ইশরাক জাহান জেলী, মোশতাক চৌধুরী, মাসুদা সিদ্দিকা রুহী, কামরুল আলম, সেনোয়ারা আক্তার চিনু, হোসনে আরা বেগম কলি, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, মো. ইকবাল উদ্দিন, কামাল আহমদ, এডভোকেট ইফতেখার আলম শোয়েব, উম্মে সুমাইয়া তাজবীন নীলা, আবদুল কাদির জীবন, জালাল জয়, লুৎফা আহমদ লিলি, কয়েছ মাহদী, মাহফুজ জোহা, তাসলিমা খানম বীথি, সৈয়দ মুজাদ্দিদ, শামস মাহবুব, সাদিক হোসেন সাদী, মোঃ বাহার উদ্দিন, সয়ফুল আলম পারুল, জুবেল আহমদ সার্জন, জসিম উদ্দীন, শাহিনা জালালী পিয়ারী, জাকির হোসেন, সাদিক হোসেন এপলু, মো. আব্দুল বাছিত, শিব্বির আহমদ, সাইফান রাহিম, ইসমত ইবনে ইসহাক সানজিদ, মোঃ আলাউদ্দিন আহমদ, মাহমুদুল হাসান, সৈয়দ ফসীহুল লিসান, শাকিল আহমেদ, দিদার আহমদ, আব্দুর রব, লিলু মিয়া, আলিয়া সোহা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি