প্লাজমা প্রযুক্তি সেন্টার

4

প্লাজমা প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে অরিক্স বায়োটেক প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা। উল্লেখ্য, অরিক্স বায়োটেক একটি বহুজাতিক চীনা কোম্পানি, যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে কয়েক বিলিয়ন ডলার। অরিক্স বায়োটেক প্লাজমা ফ্রাকশানেশন প্লান্টে মানবদেহের রক্তের প্লাজমা বিশ্লেষণ ও বিশ্লিষ্ট করে জীবন রক্ষাকারী নানা ওষুধ প্রস্তুতের পথ সুগম হবে। এর পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রায় দুই হাজার ব্যক্তির কর্মসংস্থান এবং এ খাতে সংশ্লিষ্ট প্রায় হাজার কোটি টাকার ওষুধ আমদানি বন্ধ হবে।
করোনা মহামারী দেশের স্বাস্থ্য খাতসহ চিকিৎসা সেবায় এনেছে আমূল পরিবর্তন। ইতোমধ্যে বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো উন্নীত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানে। যে কারণে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার বরাবরই নিয়ন্ত্রণে থেকেছে। আরও যা আশার কথা তা হলো, জটিল ও মুমূর্ষু করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্লাড প্লাজমা থেরাপি ব্যবহৃত হয়েছে এবং ফল হয়েছে ইতিবাচক।
দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপিত হয়েছে প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার। সরকারী-বেসরকারী কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় এটি কাজও শুরু করেছে ইতোমধ্যে। বেশ কয়েকজন রোগীকে এই সেন্টারের মাধ্যমে প্লাজমা সরবরাহও করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে করোনাজয়ীদের কাছ থেকে ব্লাড প্লাজমা সংগ্রহ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, দেশে লক্ষাধিক করোনাজয়ী রয়েছেন বলে খবর আছে। সে অবস্থায় প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন নিঃসন্দেহে একটি আশা জাগানিয়া খবর। এই সেন্টারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে করোনাজয়ীদের তথ্য সংগ্রহ, ডাটাবেজ তৈরি, দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে একটি যোগাযোগ তথা মেলবন্ধন তৈরির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলেছে।
প্লাজমা হলো রক্তের অন্যতম একটি উপাদান, যা রক্তরস নামে অভিহিত। যেসব রোগী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন, মূলত তাদের কাছ থেকেই সংগৃহীত হয়ে থাকে প্লাজমা। অবশ্য প্লাজমা থেরাপি করোনা রোগীকে শতভাগ সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে নিশ্চিত গ্যারান্টি কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় যেমন ব্লাড প্ল্যাটিলেট লাগে, তেমনি করোনা রোগের উপশমে প্লাজমা থেরাপি সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এর পাশাপাশি সরকারী উদ্যোগে আগামীতে অন্তত ৭০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা, এক হাজার হাই ফ্লো অক্সিজেন নেজাল ও ১০ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার প্রচেষ্টা চলেছে, যা করোনা রোগীর নিরাময়ের জন্য অতীব সহায়ক হবে। এই সুবিধা ধনী-গরীব নির্বিশেষে নিশ্চিত করতে হবে।
প্লাজমা প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে অরিক্স বায়োটেক প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা। উল্লেখ্য, অরিক্স বায়োটেক একটি বহুজাতিক চীনা কোম্পানি, যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে কয়েক বিলিয়ন ডলার। অরিক্স বায়োটেক প্লাজমা ফ্রাকশানেশন প্লান্টে মানবদেহের রক্তের প্লাজমা বিশ্লেষণ ও বিশ্লিষ্ট করে জীবন রক্ষাকারী নানা ওষুধ প্রস্তুতের পথ সুগম হবে। এর পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রায় দুই হাজার ব্যক্তির কর্মসংস্থান এবং এ খাতে সংশ্লিষ্ট প্রায় হাজার কোটি টাকার ওষুধ আমদানি বন্ধ হবে।
করোনা মহামারী দেশের স্বাস্থ্য খাতসহ চিকিৎসা সেবায় এনেছে আমূল পরিবর্তন। ইতোমধ্যে বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো উন্নীত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানে। যে কারণে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার বরাবরই নিয়ন্ত্রণে থেকেছে। আরও যা আশার কথা তা হলো, জটিল ও মুমূর্ষু করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্লাড প্লাজমা থেরাপি ব্যবহৃত হয়েছে এবং ফল হয়েছে ইতিবাচক।
দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপিত হয়েছে প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার। সরকারী-বেসরকারী কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় এটি কাজও শুরু করেছে ইতোমধ্যে। বেশ কয়েকজন রোগীকে এই সেন্টারের মাধ্যমে প্লাজমা সরবরাহও করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে করোনাজয়ীদের কাছ থেকে ব্লাড প্লাজমা সংগ্রহ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, দেশে লক্ষাধিক করোনাজয়ী রয়েছেন বলে খবর আছে। সে অবস্থায় প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন নিঃসন্দেহে একটি আশা জাগানিয়া খবর। এই সেন্টারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে করোনাজয়ীদের তথ্য সংগ্রহ, ডাটাবেজ তৈরি, দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে একটি যোগাযোগ তথা মেলবন্ধন তৈরির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলেছে।
প্লাজমা হলো রক্তের অন্যতম একটি উপাদান, যা রক্তরস নামে অভিহিত। যেসব রোগী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন, মূলত তাদের কাছ থেকেই সংগৃহীত হয়ে থাকে প্লাজমা। অবশ্য প্লাজমা থেরাপি করোনা রোগীকে শতভাগ সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে নিশ্চিত গ্যারান্টি কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় যেমন ব্লাড প্ল্যাটিলেট লাগে, তেমনি করোনা রোগের উপশমে প্লাজমা থেরাপি সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এর পাশাপাশি সরকারী উদ্যোগে আগামীতে অন্তত ৭০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা, এক হাজার হাই ফ্লো অক্সিজেন নেজাল ও ১০ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার প্রচেষ্টা চলেছে, যা করোনা রোগীর নিরাময়ের জন্য অতীব সহায়ক হবে। এই সুবিধা ধনী-গরীব নির্বিশেষে নিশ্চিত করতে হবে।