চৌহাট্টার ঘটনায় ৩২৮ জনকে আসামী করে অস্ত্র, পুলিশ এসল্ট ও দ্রুত বিচার আইনে ৩ মামলা

42

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় পুলিশ-সিসিক ও পরিবহন শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র ও পুলিশ এসল্টসহ ২টি ও সিসিকের প্রকৌশলী বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে আরও ১টি মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত এই ৩ মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩২৮ জনকে।
এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত অস্ত্র মামলার একমাত্র আসামী ফয়সল আহমদ আহাদকে (৩৮) গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি এস এম আবু ফরহাদ।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ইতোমধ্যে পুলিশ সংঘর্ষকারীদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তালিকা করার পর পরই কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। তবে অহেতুক কেউ যাতে হয়রানি শিকার না হন সেজন্য পুলিশ ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে সংঘর্ষকারীদের মামলার আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন। তবে কোতোয়ালি থানায় এখনও পর্যন্ত পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
অপরদিকে, বুধবার আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত ফয়সল আহমদ আহাদকে (৩৮) একমাত্র আসামি করে অস্ত্র আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। বুধবার দুপুরে সংঘর্ষের সময় গ্রেফতারকৃত আহাদ পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি ছোঁড়ার চেষ্টা চালালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে ৩ রাউন্ড গুলি ও বন্দুক উদ্ধার করে।
এছাড়া, চৌহাট্টায় সংঘর্ষের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পরিবহন শ্রমিকরা পুলিশের ওপর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মামলা চালায়। এসময় পুলিশের কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। পুলিশের কাজে বাঁধা দান ও হামলার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় এসআই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে ১৭ জনকে এজহারনামীয় আসামি করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে সিটি করপোরেশনের কাজে বাঁধা প্রদান, কাউন্সিলর ও সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন সিসিকের উপ সহকারী প্রকৌশলী দেবব্রত দাস। তিনি ১০জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০জনকে আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী। তিনি বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সিসিক বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।