শাবি’র ছাত্রী মেসে ঢোকার চেষ্টা বহিরাগত যুবকের, পুলিশে সোপর্দ

22

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত ইনায়া মেনশনের চতুর্থ তলায় ছাত্রীদের মেসের এক রুমে তালা ভেঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করে এক বহিরাগত যুবক। এ ঘটনায় এক ছাত্রীকে গালিগালাজ ও হুমকি দেয়াসহ শ্লীলতাহানীর অভিযোগ ওঠেছে ঐ যুবকের বিরুদ্ধে। যুবকের নাম সাজ্জাদ হোসেন মঞ্জু। তার বাড়ি নগরীর কালীবাড়ি এলাকায়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ইনায়া মেনশনের তিনতলার ফ্ল্যাটের মূল গেটের দরজা ভেঙ্গে করিডোরে প্রবেশ করে এক বহিরাগত যুবক। এ সময় দুইটি ফ্ল্যাটের তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করে সে। তালা ভাঙ্গার চেষ্টাকালে ফ্ল্যাটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বাইরে বেরিয়ে আসে। এ সময় ঐ ছাত্রীকে দেখে বহিরাগত যুবকটি তাকে হুমকি, গালিগালাজ দেয়াসহ শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এ সময় ভিকটিম সহ ঐ মেসের ছাত্রীরা নিচে নেমে চিৎকার দিয়ে মানুষ জড়ো করে। পরে ওই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে এ ঘটনা ঘটার আধা ঘন্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে দেখা যায় নি প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের কাউকে। এ নিয়ে নিজেদের নিরাপত্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের ঘটনায় আধা ঘন্টার বেশি সময় পার হয়ে গেলেও কোনো শিক্ষককে সেখানে দেখা যায় নি। যুবককে আটক করার পর প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে আসেন। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে যারা থাকে তারা কতোটুকু নিরাপদে আছে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, বহিরাগত যুবকটিকে পুলিশের কাছে হস্তাান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আমরা ঐ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গার্ড মোতায়েন করেছি এবং মালিক পক্ষ ঐ বাসার নিচে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করবে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ইনায়া মেনশনের মালিক জিডি করবেন বলে জানান তিনি।
তবে জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও মালিকপক্ষ কেউ মামলা করতে রাজি হন নি। পুলিশ এ বিষয়ে মামলা করে গৃহে অনুপ্রবেশের ধারায় ওই যুবককে কোর্টে চালান করা হয়েছে।