কানাডা-সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোমের মালিকদের তথ্য চেয়েছে দুদক

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
কানাডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে যারা সেকেন্ড হোম গড়ে তুলেছেন তাদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা কমিশনের একটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। কমিশন ইতোমধ্যে যারা কানাডাতে, মালয়েশিয়াতে, সিঙ্গাপুরে, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে বাড়িঘর করেছেন, তাদের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা এই বিষয়ে স্থানীয়ভাবে জেনে, তাদের এজেন্সি অর্থাৎ আমাদের দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে জেনে আমাদের যেন জানায় এজন্য তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যাই বেশি বলে মন্তব্য করেন। এরপর বিদেশে টাকা পাচার করে সেকেন্ড হোম তৈরি করার বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়।
এর প্রেক্ষিতেই ২২ নভেম্বর বিদেশে অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িতদের যাবতীয় তথ্য চেয়ে একটি স্বপ্রণোদিত রুল জারি করে হাইকোর্ট। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুদক, সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনন্টেলিজেন্ট ইউনিট, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনগুলো বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। দুদক তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অর্থ পাচারের অপরাধে ৪৭টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। আর এ সংক্রান্ত ৮৮টি মামলা তদন্ত করছে দুদক। পুরানো এই অর্থপাচারকারীদের তালিকা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। তারা ২২ নভেম্বরের পরে নতুন করে কারো বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে কিনা তা জানাতে বলে।
হাইকোর্টের ওই নির্দেশনা মতেই বিদেশে সেকেন্ড হোম তৈরি করা ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য জানতে উদ্যোগী হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা বা তথ্য পেলে তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর ও অনুসন্ধান করে নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।