কানাইঘাটে বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের পৃথক অভিযোগ দায়ের

5
বিট কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি।

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
প্রতারনার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কানাইঘাট উপজেলা বিট কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র মিস্তিরর বিরুদ্ধে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বরাবরে পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেনের সিলেট শেখঘাট কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিট কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র মিস্তির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে লিখিত দরখাস্ত দায়ের করেন কানাইঘাট উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ হাসান জিবান, লোভাছড়া পাথর কোয়ারী এলাকার সাউদগ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের পুত্র পাথর ব্যবসায়ী আশিক উদ্দিন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন তদন্ত পূর্বক অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। অভিযোগে দরখাস্তের বাদী পাথর ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত জুনেদ হাসান জিবান উল্লেখ করেছেন অনুমানিক ৫ মাস পূর্বে বিট কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্রের সাথে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাদে বিট কর্মকর্তা তাকে জানান বিভিন্ন মন্ত্রী ও বড় বড় সরকারী কর্মকর্তার সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে বন্ধ হওয়া লোভাছড়া পাথর কোয়ারী ১৮ লক্ষ টাকা তাকে প্রদান করলে তার এলাকার মন্ত্রী ছ ম রেজাউল করিম এর মাধ্যমে খুলে দিতে পারবেন এমন আশ^াস দেখিয়ে মন্ত্রী ছ ম রেজাউল করিমের নাম ভাঙ্গিয়ে তার কাছ থেকে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে ২ কিস্তিতে ৩৫ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন বিট কর্মকর্তা। পাওনা টাকা খুঁজতে গেলে বিট কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র উল্টো থাকে বন বিভাগের মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। অপর দিকে সাউদগ্রামের পাথর ব্যবসায়ী আশিক উদ্দিন তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন অনুমানিক ৪ মাস পূর্বে ভিট কর্মকর্তার সাথে স্থানীয় মূলাগুল বাজারে তার পরিচয় হয়। প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক রয়েছে। লোভছড়া পাথর কোয়ারীর নদীপথে আটককৃত আমার ২টি পাথর বোঝাই বলগেট প্রশাসনের মাধ্যমে ছাড়িয়ে দিবেন বলে বিট কর্মকর্তা তার কাছ থেকে নগদ ৭৫ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে আত্মসাৎ করেন। এতে করে তিনি মোটা অংকের টাকার ক্ষয়ক্ষতি শিকার হন। বিট কর্মকর্তার কাছে পাওনা টাকা খোঁজতে গেলে তিনি প্রথমে দিমুদিচ্ছি বলে সময় নিলেও বর্তমানে টাকা চাহিলে বন বিভাগের বিভিন্ন মামলায় তাকে আসামী করবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। টাকা আত্মসাতের ফোন আলাপ রেকর্ড তার কাছে রয়েছে। বিট কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র মিস্তির কর্তৃক কানাইঘাটের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটের সরকারি গাছপালা কর্তন, বন বিভাগের গাছপালা উজাড়, বন বিভাগের জায়গা বে-দখল সহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত গত ২৭/১২/২০২০ইং তারিখে জৈন্তা সারি রেঞ্জ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলে সেখানে তদন্তকারী টিমের কাছে উপস্থিত হয়ে তারা বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন বলে জুনেদ হাসান জিবান ও আশিক উদ্দিন জানান। প্রসঙ্গত যে, ক্ষমতার অপব্যবহার সহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্তমানে বিট কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র মিস্তির বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টি তদন্ত চলছে।