এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলা ॥ ৮ আসামীকে আদালতে হাজির, ১০ জানুয়ারী পরবর্তী শুনানী

15

স্টাফ রিপোর্টার :
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী গণধর্ষণের মামলার চার্জগঠনের শুনানীর জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি ধার্য্য করা হয়েছে। পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রের উপর বাদিপক্ষের নারাজি না থাকলে নির্ধারিত তারিখেই ওই মামলার বিচারকার্য শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া মামলার আসামী শাহ মাহবুবুর রহমান রনি জামিনের প্রার্থনা করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন। গতকাল রবিবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক মো: মোহিতুল হক মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে চার্জশিটভুক্ত ৮ আসামীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আদালতের পিপি রাশেদা সাইদা খানম জানান, অভিযোগপত্রের উপর মামলার বাদি পক্ষের কোন নারাজি না থাকলে ১০ জানুয়ারি ওই মামলার বিচারকাজ (চার্জগঠন) শুরু হবে। এছাড়া তিনি জানান, মামলার অন্যতম আসামী শাহ মাহবুবুর রহমান রনি জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানী শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ ডিসেম্বর ৮ আসামীর বিরুদ্ধে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্র্রনীল ভট্টাচার্য। অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন উরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ৮ জনই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
মালার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বামীকে নিয়ে শাহপরান মাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন নির্যাতনের শিকার তরুণী (২৫)। ফেরার সময় তারা গাড়ি থামিয়েছিলেন টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে। স্ত্রীকে প্রাইভেটকারে রেখে স্বামী পাশ্ববর্তী দোকানে গিয়েছিলেন। ওইসময় প্রাইভেটকারটি ঘিরে ধরে কয়েকজন যুবক। প্রাইভেটকারসহ ওই দম্পতিকে তারা নিয়ে যায় বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে। সেখানে স্বামীর সামনেই গাড়ির ভেতরে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ৬ যুবক। পরে তাদের মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা। আটকে রাখে তাদের গাড়িও। ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও ৩ দিনের মধ্যে ৬ আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব ও পুলিশ। সন্দেহভাজন ২ গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, আইনুদ্দিন উরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া। গ্রেফতারের পর তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে সকলেই দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।