দাবি আদায়ে সিলেটে রিক্সা মালিক-শ্রমিকদের মানববন্ধন

11
নগরীর চৌহাট্টা থেকে কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত রিক্সা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কাজিরবাজার ব্রীজের মুখে সিলেট জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের মানববন্ধনের একাংশ।

রিক্সা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা থেকে কোর্ট-পয়েন্ট পর্যন্ত রিক্সা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবীতে রিক্সা শ্রমিকরা কাজিরবাজার ব্রীজে দীর্ঘ লাইনে রিক্সা দাঁড় করিয়ে ব্যতিক্রমী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট জেলা রিক্সা-শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং- চট্ট-১৬৬৯ ও রিক্সা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা চৌহাট্টা থেকে কোর্ট-পয়েন্ট পর্যন্ত রিক্সা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান।
সিলেট জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াছিন খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বকর সিদ্দিক এর পরিচালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগর সভাপতি জামিল আহমদ রাজু।
চলমান আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রিক্সা শ্রমিকলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, আব্দুল জলিল, মোঃ শাহ আলম, রিক্সা মালিক আব্দুস সোবহান, শ্রমিকনেতা আনোয়ার হোসেন আনাই, সংগঠনের সহ সভাপতি শাহ মিজানুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক কোরবান আলী, অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোল্লা, ক্রীড়া সম্পাদক বাহার উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও সিলেট জেলার অসংখ্য মালিক-শ্রমিকনেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা রিক্সা শ্রমিকদের প্রাণের দাবী মানার আহবান জানিয়ে বলেন, নগরীর চৌহাট্টা থেকে কোর্ট-পয়েন্ট পর্যন্ত রিক্সা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে রিক্সা শ্রমিকদের জীবিকা নির্বাহে সহযোগিতা করুন। যারা হিংসানীত হয়ে অযথা রিক্সার উপর দোষ চাপিয়ে যানজট সৃষ্টির কথা বলেন, সেটা তাদের ভুল ধারণা। রিক্সার জন্য নগরীতে যানজট সৃষ্টি হয় না। সড়কে উভয় পাশে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং এর জন্য যানজট সৃষ্টি হয়। সেদিকে কর্তৃপক্ষ নজরদারী করলে নগরী যানজট মুক্ত থাকবে। বক্তারা বলেন, জিন্দাবাজার এলাকার রাস্তা উন্নয়ন হয়েছে এটার পক্ষে আমরাও। কিন্তু সৌন্দর্য বর্ধনের নামে বৈষম্যতা সৃষ্টি করে রিক্সা শ্রমিকদের পেটে লাথি মারা এটা আমরা কখনো মেনে নিতে পারিনা। বক্তারা অনতিবিলম্বে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ঘোষিত ঘোষণা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান। অন্যথায় শ্রমিক মালিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। বিজ্ঞপ্তি