ঢাকা-সিলেটের চার লেনের সড়কের এক কিলোমিটারের খরচ ৮২ কোটি টাকা

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সিলেট-ঢাকা বিদ্যমান দুই লেন সড়ককে চার লেনে উন্নীত করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের হিসেবমতে ২০৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি নির্মাণে খরচ হবে ১৭ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। সে হিসাবে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হবে ৮২ কোটি টাকা।
তবে চার লেনের সড়কটি নির্মাণে পরামর্শক, যানবাহন কেনা, মাটির কাজসহ বিভিন্ন খাতে যে খরচ ধরা হয়েছে, তা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন।
ঢাকার কাঁচপুর থেকে সিলেটের পীর হাবিবুর রহমান চত্বর পর্যন্ত প্রস্তাবিত সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হবে। এ জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে ঋণ মিলবে ১৩ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। বাকি ৩ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।
চলতি মাসের প্রথম দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। সেখানে যাচাই-বাছাই করে বেশ কিছু খাতে আর্থিক খরচে অসংগতি খুঁজে পেয়েছে কমিশন। সমজাতীয় অন্য প্রকল্পের তুলনায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে কিলোমিটারপ্রতি খরচ কেন ৮২ কোটি টাকা করে পড়ছে, তার ব্যাখ্যাও জানতে চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ অন্য মহাসড়কগুলো প্রচলিত বিটুমিন দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রচলিত বিটুমিন ব্যবহার করা হবে না। এ সড়কে পলিমার মোডিফাইড বিটুমিন (পিএমবি) ব্যবহার করা হবে। তাই এই প্রকল্পে কিলোমিটারপ্রতি খরচ বেশি হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশে মহাসড়কে প্রচলিত বিটুমিনের চেয়ে পলিমার মোডিফাইড বিটুমিন যে ভালো, তা যে সড়ককে দীর্ঘস্থায়ী করবে, তার একটা যৌক্তিক বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রমাণ কমিশনে জমা দিতে সওজকে বলা হয়েছে। মহাসড়কে প্রচলিত বিটুমিন থেকে বের হয়ে পিএমবির দিকে কেন যাওয়া হচ্ছে, সেটির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে সওজের কাছে।
শুরু থেকেই বিপত্তি :
সিলেট-ঢাকা সড়ক নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে কখনো চীনের টাকায়, কখনো এডিবির টাকা, আবার কখনো রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকায় বাস্তবায়নের আলোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এডিবির ঋণের দিকেই হাঁটছে সরকার। সড়কসচিব নজরুল ইসলামকে ঘুষ সাধার অভিযোগে চীনা রাষ্ট্রীয় কোম্পানি চায়না হারবারকে কালো তালিকাভুক্ত করে সরকার।