সিলেটে শীতের দাপট

18

সিলেটে শীতের দাপট বাড়ছে, তৃণমূল মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এ বাংলা ছয় ঋতুর মধ্যে শীতকাল শুরুর সাথে-সাথেই দেশে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে, একালের শুরুতেই প্রচন্ড শীতের সাথে দমকা হিমেল বাতাসে জন-জীবন স্ববির হয়ে পড়েছে।
দেশের সর্বত্র শীতের প্রচন্ড দাপট লক্ষণীয়, তবে সিলেট অঞ্চলের সীমান্তিক এলাকায় শীতের প্রবাহ খুবই বেশী বলে ভোক্তভোগীরা জানান। অনেকের মতে সিলেট অঞ্চলের তিন দিক দিয়ে পাহাড়-পর্বতে ঘেরা থাকায় শীতের প্রবাহ বেশী অনুভূত হয়ে থাকে। তাই শীতকাল শুরুর সাথে-সাথেই শীতের ঘনঘটা শুরু হয়ে যায়। সিলেট অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলের জনপদের জনসাধারণ শীতের শুরু থেকেই প্রচন্ড শীত পড়েছে। এছাড়াও সিলেট অঞ্চল ভারতের মেঘালয়, আসামের শিলংয়ের পাহাড় ছাড়াও খাসিয়া-জৈন্তার পাহাড়, এবং জকিগঞ্জের আটগ্রামের পাহাড় থাকায় সারা সিলেট অঞ্চলে শীতকালে প্রচন্ড শীত পড়ে থাকে। এ ছাড়া ও মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চা-বাগানসহ ছোট-বড় হাজারো টিলায় আবৃত। তাই সীমান্তিক এলাকায় শীত মৌসুমে শীতের দাপট পড়ে থাকে।
পৌষের শুরু থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় ঘনকুয়াশায় কৃষকের উৎপাদিত ফসল নিয়ে ও দুশ্চিতায় ভোগতে হচ্ছে, তেমনি সবজি ক্ষেতের ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়নি। কৃষকের উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করতে বিঘ্নতার কারণে কৃষকরা যথাসময়ে পণ্যে বাজারজাত করতে না পারায় আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছেন। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের যথাসময়ে বাজারজাত করতে না পরায় সবজি ক্ষেতের সবজি গুলো অনায়াসে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে প্রকৃত মূল্যে প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
আবহাওয়া সূত্র মতে; আরোও কয়েকদিন প্রচন্ড শীতসহ শৈত্যপ্রবাহের দাপট থাকবে, সিলেট অঞ্চলে শীতের দাপট বাড়ার আলামত বিদ্যমান রয়েছে। এদিকে শীতের দাপট বৃদ্ধি হওয়ায় তৃণমূল মানুষের দুর্ভোগ ও বাড়ছে। তবে শহর ও শহরতলির বস্তিবাসির মানষ ছাড়াও ছিন্নমূল ভবঘুরেরা শীতের প্রকোপে ভুগতে হচ্ছে। অন্যদিকে সীমান্তিক গ্রামীণ অঞ্চলে প্রায় দিনই কুয়াশায় ঢাকা থাকে। এ অঞ্চলের মানুষের শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে খড়-কুটায় আগুণ জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।
এ প্রচন্ড শীতকালিন সময়ে শহর, শহরতলিসহ গ্রামাঞ্চলের শীতার্ত মানুষের সাহায্যোর্থে বিত্তবানসহ সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় খুবই জরুরী।