কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বোমা হামলার মামলায় জেএমবি নেতা আব্দুল আজিজের আমৃত্যু কারাদন্ড

15
কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সিরিজ বোমা হামলার মামলায় জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ জেএমবি) নেতা মাওলানা আব্দুল আজিজ ওরফে হানিফকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার সকালে রায়ের পূর্বে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা কদমতলীতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বোমা হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) নেতা আব্দুল আজিজ উরফে হানিফকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোমিনুন্নেসা এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের এপিপি জুবায়ের বক্ত।
আদালত ও সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট জেএমরি জঙ্গিরা সারাদেশের মতো সিলেটে ১৩টি, সুনামগঞ্জে ৫টি, হবিগঞ্জে ৫টি ও মৌলভীবাজারে ৫টিসহ মোট ২৯টি স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে সিলেটের আদালতপাড়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সেদিন সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে নগরীর আদালতপাড়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিঁড়ির নিচ, শাহী ঈদগাহ, নয়াসড়ক, কদমতলী বাস টার্মিনাল, লামাবাজারের একটি নার্সারিসহ ১৩টি এলাকায় একসাথে ও একই সময়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এ সকল স্থানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও ওইদিনের বোমা হামলায় সিলেটে কেউ মারা যাননি। তবে এ বোমা হামলায় সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিপ্লব গোস্বামী এবং তার গাড়ি চালক, বিচারপ্রার্থী জনগণ, নার্সারি মালিক, পথচারীসহ ১৫ জন আহত হন। পরবর্তীতে প্রতিটি বোমা হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতায় বিস্ফোরক আইনে পৃথক পৃথক মামলা করে পুলিশ। সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় দায়ের করা হয় ২৯টি মামলা। এর মধ্যে বেশিরভাগ মামলারই বিচার কাজ শেষ হয়নি। অধিকাংশ মামলাই বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। কিছু মামলা আদালতে এখনও বিচারাধীন রয়েছে। তাছাড়া সুনামগঞ্জের একটি মামলায় ২ জন জঙ্গিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। কদমতলি বাস টার্মিনালে হামলার ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় আব্দুল আজিজ উরফে হানিফসহ অজ্ঞাত জঙ্গিদের আসামি করে মামলা করা হয়। আদালতে জঙ্গি আব্দুল আজিজ হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন। পরে ২০১৪ সালের ২৭ মে কদমতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার চার্জগঠন হয়ে বিচারকার্য শুরু হয়। গতকাল রবিবার উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন আদালত।