বিজয়ের মাস

5

জেড এম শামসুল :
আজ ১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর এদিনে হানাদার বাহিনীর সকল প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর অব্যাহত আকাশ ও স্থল হামলায় হানাদারদের একের পর এক ঘাঁটির পতন হতে থাকে। মুক্তি বাহিনী ও মিত্রবাহিনীর গেরিলারা শক্ত অবস্থান নিয়ে সামনের দিকে এগুতে থাকে। ফলে জামালপুর, ময়মনসিংহ, হিল্লি, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, যশোরসহ বিভিন্ন স্থান শত্র“ মুক্ত হয়। এদিনে চাঁদপুরের মতলব বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থান থেকে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এদিন কলকাতার পত্র-পত্রিকায় হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের সংবাদ ছাপা হয় এবং বেতার থেকে হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর ধারাবাহিক ভাবে সম্প্রচার করা হলে মুক্তিবাহিনী এবং মিত্রবাহিনীর গেরিলাদের আরো উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়ে যায়। তারা বীর দর্পে যুদ্ধ অব্যাহত রাখে। এই দিন সদ্যমুক্ত যশোর মুক্তাঞ্চল এলাকায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমদ এক সমাবেশে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এ ঘোষণায় তারা বলেন, হানাদার বাহিনী সহ এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। এ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা, লুণ্ঠন, নারী নির্যাতন সহ সকল অপরাধের বিচার করা হবে। এদিন থেকে সকল সেক্টর এক সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ঢাকার দিকে এগুতে থাকে।