একাত্তরের নৃশংসতা

8

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সমযে এদেশীয় সাম্প্রাদায়িক শক্তির মাধ্যমে হানাদার পাকিস্তানি ঘাতকরা যেভাবে মানুষ হত্যা আর নির্যাতন করেছে, তা স্মরণ হলে এখনও শরীর কেঁপে উঠে। তাদের এই নৃশংসতা দেখে গোটা বিশ্ব স্বম্ভিত হয়েছিল। স্বম্ভিত হয়েছিল সারা বিশ্বের মানবতাবাদি দেশসমূহ বাঙালির এ দুঃখ-কষ্টের কথা জেনে-শুনে পাকিস্তানি নরঘাতকদের প্রতি ঘৃণা জানিযে ভারত ও রাশিয়া সবধরনের সাহায্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল। এখনও দেশের সাধারণ মানুষ পাকিস্তানিদের নাম শুনতে ঘৃণা বোধ করে।
জাতির জনক বাঙালি জাতির স্বপ্নদষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদিও এদেশীয় সাম্প্রদায়িক শক্তি পাকিস্তানি হায়নার বাহিনীর দোসর আল-বদর, আল-শামস, রাজাকারদেরকে সাধারণ ক্ষমা করে দিলেও সাধারণ মানুষ একাত্তরের তাদের নৃশংসতার কথা ভুলেনি ভুলতে পারবে না। যে সব বাঙালি তাদের দ্বারা নির্যাতন, নিপীড়নের শিকারসহ হতাহত ও লাঞ্ছিত হয়েছে, তাদের বংশধররাও কখনও ভুলবে না।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশে যে নৃশংসতা চালিয়েছে তা ভোলার নয় এবং এ ব্যথা চিরদিন থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সঠিক সময়ে বাঙালি জাতির বিজয়ের মাসে পাকিস্তানি হাইকমিশনার এর উদ্দেশ্যে যথাযথই বক্তব্য রেখেছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার অর্ধ শতাধিক বছর অতিবাহিত হতে চলেছে, বাঙালি জাতি পাকিস্তানিদের নির্যাতন-নিপীড়নের কথা যেমন ভুলতে পারেনি, তেমনি লুট-পাটের ঘটনায় ক্ষয়-ক্ষতির শিকার জনগণ এখনও ভুলতে পারেনি।
বিজয়ের মাস বার-বার ঘুরে এলেও একাত্তরে যারা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাহাযো-সহযোগিতা করতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন, অনেকে মানসিক-আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের খবর নিয়ে পুনর্বাসন করা খুবই জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।