প্ল্যান্ট চালুর দাবিতে গোলাপগঞ্জে সভা ॥ প্রতিদিন পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার এনজিএল

16
আরপিজিসিএল এর কেটিএল প্ল্যান্ট চালু এবং কৈলাশটিলা এমএসটিই গ্যাস ফিল্ডে তরল স্বর্ণ এনজিএল পুড়িয়ে ধ্বংস করা বন্ধের লক্ষ্যে সর্বস্তরের গোলাপগঞ্জবাসীর উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী।

গোলাপগঞ্জে গ্যাস বোটলিং কারখানা এলপিজি প্ল্যান্ট এবং এলপি গ্যাস ও পেট্রোল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরপিজিসিএল এর কেটিএল প্ল্যান্ট চালু এবং কৈলাশটিলা এমএসটিই গ্যাস ফিল্ডে ‘তরল স্বর্ণ’ এনজিএল (ন্যাচারাল গ্যাস লিকুইড) পুড়িয়ে ধ্বংস করা বন্ধের লক্ষ্যে সর্বস্তরের গোলাপগঞ্জবাসীর উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার ৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী। সভায় রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় গোলাপগঞ্জের শিল্প কারখানা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে ধারাবাহিক কর্মসূচী দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, কৈলাশটিলা এমএসটিই গ্যাস ফিল্ডে গ্যাসের সাথে উপজাত হিসেবে পাওয়া যায় কনডেনসেট ও এনজিএল। পাশেই স্থাপিত আরপিজিসিএল এর কেটিএল প্ল্যান্ট গ্যাস ফিল্ড থেকে এনজিএল নিয়ে এলপি গ্যাস ও পেট্রোল উৎপাদন করে। উৎপাদিত এলপি গ্যাস পাশেই স্থাপিত অপর একটি গ্যাস বোটলিং কারখানা এলপিজি প্ল্যান্টে বোটলিং করা হয়।
তারা বলেন, কেটিএল প্ল্যান্ট বন্ধ হওয়ায় গ্যাস না পেয়ে বন্ধ হয়ে গেছে এলপিজি প্ল্যান্ট। আবার কেটিএল প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা গ্যাস ফিল্ড থেকে এনজিএল না নেয়ায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার এনজিএল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। বাজার মূল্যে যা ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হবে বলে উল্লেখ করেন তারা।
তারা বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং প্রতিদিন রাষ্ট্রীয় সম্পদ পুড়িয়ে ধ্বংস গোলাপগঞ্জবাসী মেনে নিবে না। এটা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডেকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো চক্রান্ত হাতে পারে বলে তারা সন্দেহ পোষণ করেন। সভায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় এবং দুটি প্রতিষ্ঠান চালুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় সর্বসম্মতি ক্রমে উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীকে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ চৌধুরী পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাবেল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবী ডা. আব্দুল গফুর, সিলেট এলপিজি ডিষ্ট্রিবিউটরস এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মুনাইম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন রাসেল, বাদেপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাদেপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, সাইপাম সিমিটার আন্দোলনের ইষ্টিয়ারিং কমিটির সিনিয়র সদস্য মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা জিল্লুর রহমান, ঢাকাদক্ষিণ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রাজনীতিবিদ মজির উদ্দিন চাকলাদার, নব্বই দশকের সাইপাম সিমিটার আন্দোলনের ইষ্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছালিক আহমদ চৌধুরী, ফুলবাড়ী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মজনু আহমদ, লক্ষ্মীপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম তুহিন, ঢাকাদক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রহিম, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজু আহমদ, ভাদেশ^র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ সদর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা মাহফুজুর রহমান কাশেমী, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আলতাব হোসেন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, ফজলুল আলম, সমাজসেবক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, সাবেক ছাত্র নেতা হোসেন আহমদ, ইলিয়াস বিন রিয়াসত, সাংবাদিক আব্দুল আহদ, মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ফারহান মাসুদ আফছর, সাংবাদিক মেহদী হাসান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি