বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬ কোটি ৫৮ লাখ ছাড়াল, মৃত্যু ১৫ লাখ ১৮ হাজার

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ্বে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৫৮ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, মৃত মানুষের সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার ২৮৫। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৯৭৭ জন।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫৩ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৫ লাখ ৭১ হাজার ৫৫৯। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৮৮ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৮। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৪ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ। ইতালি সপ্তম। স্পেন অষ্টম। আর্জেন্টিনা নবম। কলম্বিয়া দশম।
বিশ্বজুড়ে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বে করোনায় সুস্থ মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ২৩ লাখ ৬ হাজার ৮৫৩ জন।
করোনায় সুস্থতার দিক থেকে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে ভারত। দেশটিতে ৯০ লাখ ১৬ হাজার ২৮৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এরপর রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ৭৪৫ জন। যুক্তরাষ্ট্রে ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এরপর রয়েছে রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, পেরু, ইতালি, মেক্সিকো, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা। সুস্থতার দিক থেকে বাংলাদেশ রয়েছে ২১ নম্বরে।
চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের সংখ্যা বিবেচনায় নিলে এ মুহূর্তে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। আর পুরো বিশ্বে ২২তম। এই তথ্য ওয়ার্ল্ডোমিটারস নামের একটি ওয়েবসাইটের। এই ওয়েবসাইট করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে বিশ্বের ২১৯টি দেশ ও অঞ্চলের হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ করছে।
চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যায় এশিয়ায় প্রথম ভারত, দ্বিতীয় ইরান, তৃতীয় তুরস্ক ও চতুর্থ ইন্দোনেশিয়া।
শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আশঙ্কা আছে। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর পর্যন্ত সংক্রমণ কমছিল। কিন্তু এরপর থেকে সংক্রমণ বাড়ছে। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে।