সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ॥ কাকুয়ারপারের অজিফা বেগম এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন

8

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট শহরতলীর কাকুয়ারপার এলাকার বাসিন্দা অজিফা বেগম এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অজিফা বেগমের বক্তব্যের সাথে এলাকার মানুষের ন্যূনতম কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানিয়েছেন কাকুয়ারপার পঞ্চায়েত কমিটির উপদেষ্টা আফরোজ আলী। রবিবার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে আফরোজ আলী বলেন, গত রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে আমিসহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার করেছেন কাকুয়ারপারের বাসিন্দা অজিফা বেগম। অজিফা বেগম এলাকায় একজন অত্যাচারী মহিলা হিসেবে পরিচিত। নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এয়ারপোর্ট থানার সাবেক এএসআই ও সিলেটের আলোচিত রায়হান হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আশেক এলাহীর সঙ্গে সংখ্যতা গড়ে দীর্ঘদিন এলাকার লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করেছেন অজিফা।
তিনি বলেন, আমাদের গ্রামে সরকারি ভূমি রয়েছে। আজ থেকে ১৫ বছর আগে ওই ভূমি পরিত্যক্ত থাকায় আমিসহ এলাকার মানুষ অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান ঘর নির্মান করি। অজিফা বেগম জমি কিনলেও তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। সম্প্রতি স্থানীয় কাকুয়ারপার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতিকে ব্যবহারের জন্য আমি ওই ভূমিটি ছেড়ে দেই। এতে অজিফা বেগম আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। এমনকি আদালতে মামলাসহ থানায় জিডি করেন।
আফরোজ আলী বলেন, অজিফা বিভিন্ন সময়ে এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে জিডি দায়ের করে হয়রানি করে থাকেন। তার বিষয়ে গত ১১ নভেম্বর এয়ারপোর্ট থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনারের নিকট ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন ইমরান অভিযোগ দিয়েছেন। কাকুয়ারপার এলাকার ৬৩ জন নাগরিকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও কমিশনারকে দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতে এলাকার মানুষ অজিফা ও তার মেয়ে রোমানা বেগমের বিতর্কিত কর্মকান্ড সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন। স্মারকলিপি প্রদানের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অজিফা আমার ও কাকুয়ারপার পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজমুল আলম এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আলীর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রুবেলের সঙ্গে ৮ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়েছিল অজিফার মেয়ে রোমানার। পরে রোমানা স্বামীর ঘর থেকে চলে আসে। এখন কাবিন নামার টাকার জন্য রুবেল ও তার পরিবারকে হেনস্থা করছে। অজিফার বড় ছেলে অপু মাদকাসক্ত। সে এলাকায় বহিরাগতকে নিয়ে মাদকের হাট বসায়। অপু ও তার সহযোগীদের কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অজিফার ছোট ছেলে রফু সম্প্রতি পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। রফু এখন গ্রামের মানুষের বিরুদ্ধে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আফরোজ আলী অজিফার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাকুয়ারপার পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নজমুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ আলী, কোষাধ্যক্ষ উস্তার আলী এবং দফতর সম্পাদক লিটন কুমার দেব।