জগন্নাথপুরে যৌতুকের দাবিতে ৩ সন্তানের জননীকে নির্যাতন

5

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে যৌতুকের দাবিতে ৩ সন্তানের জননীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জগন্নাথপুর উপজেলা পাইলগাঁও ইউনিয়নের হাড়গ্রামে।
জানা গেছে, বিগত ৭ বছর আগে হাড়গ্রামের মৃত দেরেস মিয়ার ছেলে নানু মিয়ার সাথে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের শ্বাসনহবি গ্রামের প্রবাসী আফিজ উল্লার মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩টি সন্তান রয়েছে। তবে প্রায়ই পিত্রালয় থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী নানু মিয়া। এরই ধারবাহিকতায় ২৫ নভেম্বর রাতে স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে অমানবিক ভাবে শারীরিক নির্যাতন করে তার স্বামী নানু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন। ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নির্যাতনের শিকার হওয়া গৃহবধূকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্যাতিত নারীর পিতা প্রবাসী আফিজ উল্লাহ বলেন, আমি দেশে আসার পরও আমার জামাতাকে যৌতুক হিসেবে ১ লাখ টাকা দিয়েছে। তবুও সে ও তার লোকজন পাষন্ডের মতো আমার মেয়েকে মারপিট করেছে। জগন্নাথপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী নানু মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীর পরিছন্নতার রোগ আছে। তার আচরণে আমি ও আমার পরিবার অতিষ্ট। সে আমার মা-বাবাকে নিয়ে গালিগালাজ করায় চড় থাপ্পড় মেরেছি। যৌতুকের কারণে মারিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার শ্বশুর আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। যা দালাল মেরে দিয়েছে। আমি আর বিদেশ যেতে পারিনি।