ভেজাল ঘি

11

দেশে খাঁটি ঘির নামে যা বিক্রি করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে যে সব খাঁটি ঘির নামে অহরহ ক্রেতা সাধারণ ক্রয় করে নিয়ে খাচ্ছেন। তা কতটুকু খাঁটি ঘি তা কেউ জানেন না, ক্রেতা খাঁটি ঘির নামে নিজে খাচ্ছে- পরিবারের অন্যদেরকে খাওয়াচ্ছেন। এসব কি দিয়ে তৈরি হচ্ছে, কিভাবে তৈরি করা হচ্ছে, এসব তৈরি করা ঘি কতটুকু স্বাস্থ্য সম্মত। এসব ভেজাল ঘি তৈরির কারখানার খবর কি স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব কর্মকর্তারা কতটুকু জানেন তা নিয়ে জনমনে নানান গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র মতে আমরা হাট-বাজারে অহরহ খাঁটি ঘির নামে পরিচিত ঘি সব-সময় ক্রয় করে বাড়ীতে পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছি তা ও একবারও ভেবে দেখিনি এগুলো কতটুকু স্বাস্থ্য সম্মত। অথচ ঘিয়ের রং দেখে বিশুদ্ধ ভেবে ক্রয় করে ব্যাগ ভরে নিয়ে যাই। কিন্তু ঘিয়ের বাহিরের রঙিন কভার দেখে, এবং বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হওয়ার প্রেক্ষিতে ভেজাল মিশ্রিত দূষিত স্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক ঘি দিয়ে বেশ আনন্দে প্রতিদিনের ভোজন পর্ব শেষ করে থাকি। কিন্তু এর পরিণতি যে কত ভয়াবহ তা পরবর্তীতে অনুভব করা যায়। যখন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তখন চিকিৎসকের দ্বারে যেতে হয়।
সূত্র মতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এসব ভেজাল ঘির বড়-বড় কার্টুন ভর্তি প্যাকেট ধরা পড়েছে। শুধু ভেজাল ঘি নয়, ভেজাল খাঁটি ঘি তৈরির সরঞ্জাম সহ ভেজাল ঘি তৈরির সাথে জড়িতদেরকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। দেশে একটি কুচক্রী চক্র এসব ভেজাল ঘি তৈরির সাথে জড়িত। এ চক্র খাঁটি ঘির নামে ডালডার সাথে নিম্ন মানের পামঅয়েল ও বিভিন্ন ধরনের রং মিশ্রিত করে ঘি বাজারজাত করে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিয়ে আসছে। আর ভেজাল ঘি বিক্রি করে জনগণের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণ মানুষের খাবারের যাবতীয় পণ্যগুলো বাজারজাত করণের পূর্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন থাকলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের খাম-খেয়ালিপনার খেসারত দিতে হচ্ছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশে জনগণের সুস্বাস্থ্যে রক্ষায় প্রতিটি খাবার পণ্য বাজারজাত করণের পূর্বে অনেক ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তাই আমাদের দেশে বাজারজাতকৃত খাবারের পণ্য গুলোর দিকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি নেয়া উচিত বলে সচেতন মহল মনে করেন।