দুই বিড়ালের যুদ্ধ এবং শিক্ষা

7

জোবায়ের জুবেল

তার নাম মিতু। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। মিতুর একটি ধবধবে সাদা বিড়াল ছানা আছে। নাম টুসি। সে বিড়াল ছানা টাকে খুব আদর করে, ভালোবাসে। যেখানেই যায় টুসি সব সময় পেছন পেছন ঘুরঘুর করে। রাতে ঘুমানোর সময় তার সাথে একই বিছানায় ঘুমায়। খুব চঞ্চল; সারাক্ষণ লাফালাফি আর দৌড়াদৌড়িতে মেতে থাকে। পাশের বাড়িতেও একটা বিড়াল আছে। ঘুটঘুটে কালো আর বজ্জাত। কালো বিড়ালটা টুসি কে খুব জ্বালাতন করে। কিছু খেতে দিলে মারামারি লাগিয়ে দেয় । একদিন মিতু ও তার মা একসাথে বসে গল্প করছিলেন। পাশেই টুসি খেলছিল। হঠাৎ তার মনে হয় টুসির ঘুমানোর সময় হয়ে যাচ্ছে। তাই সে টুসিকে এক বাটি দুধ খেতে দেয়। আচমকা হুট করে কোথা থেকে কালো বিড়াল টা এসে দেখে ফেলে এবং টুসির সাথে প্রচন্ড মারামারি বাধিয়ে দেয়। তাদের পাশেই ছিল একটি খরগোশ ছানা। ছানাটি মারামারির সুযোগে পুরো বাটির দুধ একাই সাবাড় করে দেয় ! মিতু ও তার মা বিষয়টি দেখে খুব হাসলেন এবং তাকে বোঝালেন দেখো এই বিড়াল দুটি যদি খাবার গুলো ভাগ করে খেত তাহলে দুজনেই খেতে পারতো কিন্তু তারা তা না করে নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে দেয়। যার কারণে তারা কেউই খেতে পারলো না। মাঝখান থেকে খরগোশ ছানা খাবারটা খেয়ে ফেললো। একইভাবে একসময় তুমি বড় হবে। তুমি এবং তোমার ভাই বোনেরা আমাদের যে অর্থ-সম্পদ আছে তা ভোগ করবে যদি ঐ সময় তোমরা সবাই সমানভাবে বন্টন করে চলতে পারো তাহলে সুখে-শান্তিতে থাকবে। আর তা না করে এদের মত মারামারিতে লেগে গেলে কিছুই পাবে না। সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। ফায়দা লুটবে তৃতীয় কেউ। মিতু মায়ের কথা বুঝতে পারলো এবং মা কে জড়িয়ে ধরে চুমু দিল।