সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জগন্নাথপুরের জিলু মিয়ার

5

স্টাফ রিপোর্টার :
কতিপয় অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কালাম্বরপুর গ্রামের হাজী আলখাছ মিয়ার ছেলে জিলু মিয়া। গতকাল সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রবাসি অধ্যুষিত জগন্নাথপুর এলাকায় আমাদের প্রবাসি আত্মীয় স্বজনদের অধিকাংশ বাড়িঘর তালাবদ্ধ থাকে। দেশে আসলে তখন তারা তাতে বসবাস করেন। আমার বড় বোন পিয়ারা খানম, স্বামী মনাফ মিয়া কালাম্বরপুর গ্রামে তাদের বাড়িঘর আমাকে দেখাশোনা করতে হয়। আমার গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার পুত্র জামাল মিয়া তার মা ও বোনকে নিয়ে আমার বোনের বাড়িতে থাকার জন্য আমার কাছে আশ্রয় চায়। আমি সরল বিশ্বাসে যুক্তরাজ্য বসবাসরত আমার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে আশ্রয় দেই।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করি গ্রামের কতিপয় দুষ্টু প্রকৃতির লোক এ বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকে। দু’মাসের কথা বলে ৮ মাস হয়ে গেলেও তারা বাড়ি না ছাড়ছিল না। এ ছাড়া জামালের বোন খালেদা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়। যে কারণে আমি তাদেরকে বাড়ি ছাড়ার জন্য জামালের চাচাতো ভাই মাছুম আলী, তৈয়বুর রহমান, রুফ মিয়া ও চাচা দুলা মিয়াকে অনুরোধ করি। কিন্তু তারা বাড়ি ছাড়তে রাজি হয়নি। উল্টো তারা আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এতে তাদের সহযোগিতা করে গ্রামের সুবিধাভোগী লোক। এদের মধ্যে রয়েছে ফেরদৌস খান, আবু বকর খান, ইব্রাহিম খান, ফিজুর রহমান খান, শফিকুর রহমান খান, সমুজ খান প্রমুখ।
যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা তার বোনের কাছে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা দাবি করারও অভিযোগ করেন জিলু মিয়া। টাকা না পেলে জামালরা বাড়ি ছাড়বে না বলেও হুমকি দেয়। তিনি বলেন, টাকা না পেয়ে জামাল তার বোন খালেদা বেগমকে দিয়ে একটি মানবাধিকার সংস্থায় অভিযোগ দেয়। গত ৫ অক্টোবর জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে ১১ অক্টোবর একটি অভিযোগ দেয় খালেদা বেগম। এ অভিযোগে তারা উল্লেখ করে থানার ওসি সাহেবের উপস্থিতিতে আমরা নাকি তাদেরকে লাঞ্ছিত করেছি এবং ওসি সাহেবও তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
তিনি বলেন, অকৃতজ্ঞ খালেদা বেগম তার অভিযোগে উল্লেখ করেছে আমার ছেলে সহিদ মিয়া আমার গ্রাম সম্পর্কে ভাতিজা তৈবুর রহমান ও রশিদ মিয়া নাকি তাকে ধর্ষণ করেছে এবং তাদেরকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। আসলে এ অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
জিলু মিয়া বলেন, তাদেরকে আশ্রয় দেওয়াই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁিড়য়েছে। তাদেরকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলায় তারা আমার ও আমার পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। এছাড়া কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের মানহানি করছে। এখন বাড়ি ছাড়লেও তারা আমার এবং পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। জিলু মিয়া তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম রফি।