মৌলভীবাজারে ৩৪ কোটি টাকার পাম্প কেলেঙ্কারি, দুদকের মামলা

9

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরের কাশিমপুর পাম্প হাউসের পাম্প কেনায় ৩৪ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে পাউবোর একাধিক প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এতথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক কামরুজ্জামান। তিনি জানান, বুধবার দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান মামলা করেন। এই মামলার বাদী দুদক।
মামলার আসামিরা হলেন- পাউবোর যান্ত্রিক সরঞ্জাম বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী চৌধুরী নজমুল আলম, পাউবোর পাবনা সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউস) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান, ঢাকার কেন্দ্রীয় যান্ত্রিক সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো আবু তালেব, ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউজ) বিভাগের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম গোলাম সরওয়ার, পাউবোর নকশা সার্কেল-৩ (যান্ত্রিক) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্বাছ আলী, ডিজাইন সার্কেল-১ ঢাকার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছিত ও চাঁদপুর যান্ত্রিক উপ-বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রুহুল আমিন, ঠিকাদারপ্র তিষ্ঠান সিগমা ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ আরশেদ রেজা এবং জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালাম।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি দামে পাম্প কিনেছেন। অনুসন্ধানে ৮টি পাম্পের প্রকৃত মূল্য পাওয়া যায় ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অথচ বিল হিসেবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সরকার থেকে আদায় করেছে ৫৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এতে সরকারের ৩৪ কোটি ৪২ লাখ সতেরো হাজার একশ ছিয়ানব্বই টাকা বিশ পয়সা ক্ষতি হয়েছে। তারা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।