এমসি কলেজে ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে গণধর্ষণের ঘটনা ॥ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির ১৭৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা, ১ নভেম্বর শুনানি

18

স্টাফ রিপোর্টার :
ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে গৃহবধূ তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় ১৭৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিলো তদন্ত কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিচাপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি জমা দেয়া হয়।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী এবং ধর্ষণের এ ঘটনার প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদন নজরে আনা আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন ভার্চুয়াল কোর্টে যুক্ত ছিলেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে কী আছে তা জানা যায়নি। এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, এমসি কলেজে ধর্ষণের ১৭৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি দেখার সুযোগ হয়নি। এ অবস্থায় আগামী ১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২৭ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে এ গণধর্ষণের ঘটনার প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদন নজরে এনে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত এমসির ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে গণধর্ষণের ঘটনাটি তদন্তে কমিটি গঠন করে দেয়। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, মুখ্য মহানগর হাকিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (সাধারণ) সমন্বয়ে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা রাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে স্বামীকে আটকে প্রাইভেট কারের ভেতর গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে লম্পটরা। এ ঘটনায় ওই নির্যাতিতার স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ৬ জনকে আসামী করে অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে আসামি করা হয়। পরে র‌্যাব ও পুলিশ এজাহারভুক্ত ৬ আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার মোট ৮ জনের সবাইকে ধাপে ধাপে ৫দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে রিমান্ড শেষে ৮ জনই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।