পুলিশী নির্যাতনে নিহত রায়হানের বাড়িতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন ॥ বিদেশ পালিয়ে গেলেও আকবরকে ফিরিয়ে আনা হবে ॥ রায়হানের মাকে মোমেন ফাউন্ডেশনের ২ লক্ষ টাকা অনুদান

13
পুলিশী নির্যাতনে নিহত রায়হানের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

স্টাফ রিপোর্টার :
পররষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রায়হান হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া (সাময়িক বরখাস্ত) বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর আখালিয়ায় রায়হান আহমদের বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমনটি বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস আকবর এখনও দেশের বাইরে যায়নি। কারণ সীমান্তগুলোকে আমরা সাথে সাথে সতর্ক করে দিয়েছি। তবে আকবর বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর আগে সিলেটের রাজন হত্যার আসামিকে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিলো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রায়হানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন সিলেট-১ আসনের এই সাংসদ। এ সময় রায়হান হত্যার ন্যায় বিচারেরও আশ্বাস দেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ড. মোমেন। এসময় তিনি এসআই আকবরকে পুলিশের জন্য লজ্জা উল্লেখ করে বলেন, এ রকম দুএকজন কুলাঙ্গারের কারণে পুলিশ বাহিনীও লজ্জিত। পুলিশের কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে না। সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। মন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় জড়িত সদস্যদের বাঁচাতে কোনো ধরণের অপচেষ্টা করেনি পুলিশ। আমাদের পুলিশ খুবই দক্ষ। অনেক বড় বড় অপরাধীদের গ্রেফতারেও তারা সক্ষম হয়েছে। এই ঘটনায় একজন ছাড়া বাকী সবাই নজরদারিতে আছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের সবাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান। ফলে রায়হানের সুষ্ঠু বিচার হবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এই ধরণের বাজে কাজ যেনো সিলেটে আরও কোথাও না ঘটে এরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
এদিকে নিহত রায়হান আহমদের মা সালমা বেগমকে ২ লাখ টাকা প্রদান করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর আখালিয়া এলাকায় রায়হানের বাড়িতে গিয়ে ‘মোমেন ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে এই টাকা উপহার হিসেবে প্রদান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় রায়হানের মেয়ে আলফাকে কোলে নিয়ে আদর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, রায়হান হত্যার সুষ্ঠু বিচার হবে। এ ঘটনায় জড়িত কেউ ছাড় পাবে না।