রায়হান হত্যাকান্ডের ঘটনা ॥ আদালতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ৩ পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি প্রদান

5

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশী নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন আহমদ হত্যার ঘটনায় এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার ৩ সহকর্মী পুলিশ সদস্য আদালতে সেই রাতের ঘটনার সাক্ষী দিয়েছেন। তবে তারা তাদের দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে কি বলেছেন তা এখনও পরিস্কার নয়।
সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. জিহাদুুর রহমানের আদালতে পুলিশ কনেষ্টবল দেলোয়ার, সাইদুর ও শামীম ১৬৪ ধারায় এ সাক্ষ্য প্রদান করেন। এই ৩ জনই সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন। রায়হানকে নির্যাতনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে এই ৩ কনেস্টবল আদালতে জবানবন্দি দেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম ৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের তথ্য নিশ্চিত করলেও তারা আদালতে কি বলেছেন এবং কারো নাম বলেছেন কী না এ ব্যাপারে কিছু জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।
আদালত সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার দুপুর ৩টা থেকে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিজ্ঞ বিচারক মো. জিহাদুুর রহমানের আদালতে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ৩ পুলিশ কনেষ্টবলকে হাজির করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল বিকেলে তারা রায়হান হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি প্রদান শুরু করে চল সন্ধ্যার আগপর্যন্ত।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান উদ্দিন আহমদ (৩৩) নামের এক যুবক। পরে রবিবার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রায়হান মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিয়ার সদস্য মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র। এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনষ্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনষ্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মামলার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।