দক্ষিণ সুরমায় চাঞ্চল্যকর রিপন হত্যা মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

11

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপন (৪০) হত্যা মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে। গত সোমবার ১২ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লোকমান হোসাইন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার চার্জশিটভুক্ত ১১ আসামির মধ্যে এজাহারনামীয় ৬ আসামিরা হচ্ছে, দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ১ নম্বর রোডের মৃত ফরিদের পুত্র ইজাজুল (২৮), মৃত ফারুক মিয়ার পুত্র রেজওয়ান হোসেন রিমু (২৮), মৃত আব্দুল করিম মনজ্জিরের পুত্র মুহিবুর রহমান মুন্না (৩০), মৃত আসদ্দর আলীর পুত্র মোহাম্মদ মোস্তফা (৪০), মৃত ফরিদ মিয়ার পুত্র ইসমাইল আহমদ (৩০) ও স্থানীয় সাংগু গ্রামের মৃত কবির মিয়ার পুত্র নোমান আহমদ (৩৯)। এছাড়া অজ্ঞাতদের মধ্যে তদন্তে ও আসামিদের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় চার্জশিটে অভিযুক্ত ৫ জন হচ্ছে, তারেক আহমদ, সাইদুল ইসলাম, অপু, সানি আহমদ ও সাগর হোসেন সাগর।
চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে এসআই লোকমান হোসাইন বলেন, ইকবাল হোসেন রিপন হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত কারাগারে থাকা আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও বিভিন্ন সোর্স এবং স্থানীয় সাক্ষীদের জবানবন্দির ভিত্তিতে গত সোমবার ১২ অক্টোবর ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারের জন্য সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (তৃৃতীয়) আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদন করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযোগপত্রে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির মধ্যে চার্জশিটে ৬ জনকে, আসামিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মামলার অজ্ঞাত আসামির মধ্য থেকে আরও ৫ জন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় মোট ১১ জনকে অভিযুক্ত করে এ হত্যা মামলার চার্জশিট দেয়া হয়। এজাহারভুক্ত অপর ৭ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিতে চার্জশিটে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে হত্যার পর নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় রেলওয়ে স্টেশন সিলেটের মাস্টারসহ ৩ কর্মকর্তাকে মামলার এজাহারে আসামি করা হয়। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্য চার্জশিটে সুপারিশ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অব্যাহতি পাওয়া ৩ জন হচ্ছেন- সিলেট রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মতিন ভুঁইয়া (৫৫), রেলওয়ে আইডাব্লিউ শাখার আকবর হোসেন মজুমদার (৪৮) ও ওয়ার্কার সুপারভাইজার শহিদুল হক (৫৮)।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই রাত ১০টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট এলাকায় সিলেট ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন রিপনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার তমা বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে সিলেট রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারসহ একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭জনকে আসামি করা হয়।