ডি ভিলিয়ার্সকে ‘সুপারহিউম্যান’ আখ্যা দিলেন কোহলি

5

স্পোর্টস ডেস্ক :
কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে লিগ টেবিলে তিন নম্বরে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সৌজন্যে শারজায় এবি ডি’ভিলিয়ার্স নামক এক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং তান্ডব। বোলাররা দুরন্ত পারফরম্যান্স তো করলেনই, তবু ম্যাচ শেষে অধিনায়ক কোহলির মুখে ম্যাচ সেরা ডি’ভিলিয়ার্সের বাড়তি প্রশংসা।
আসলে তার কারণও আছে। টুর্নামেন্টের প্রথমদিকের তুলনায় চরিত্র বদলেছে শারজার বাইশ গজ। এখন আর বল পড়ে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে সহজে পৌঁছচ্ছে না। ফলত বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরাতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। ব্যতিক্রম এবি ডি’ভিলিয়ার্স। মন্থর পিচে বাকি ব্যাটসম্যানরা যখন বাউন্ডারির খোঁজে হন্যে হচ্ছেন তখন ডি’ভিলিয়ার্সের ব্যাটে বাউন্ডারির ফুলঝুরি। এদিন প্রোটিয়া ব্যাটসমানের ৩৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ৬টি ছয়। সেখানে কোহলি ২৮ বল খেলে ৩৩ রান করলেন একটি মাত্র বাউন্ডারির সহযোগে।
তাই ম্যাচ শেষে এবি’র ব্যাটিং প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আরসিবি অধিনায়ক জানালেন, ‘টসের সময়েই বুঝে গিয়েছিলাম মন্থর উইকেট সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও মন্থর হয়ে যাবে। একজন সুপারহিউম্যান ছাড়া বাকিরা সবাই এই পিচে ব্যাট করতে গিয়ে ভুগল।’ কোহলি জানালেন ১৬৫-১৭০ রান ঠিক ছিল। কিন্তু ১৯৪ রান স্কোরবোর্ডে সম্ভব হয়েছে কেবল ওই ‘বিশেষ ইনিংস’টার জন্যই।
কোহলির কথায়, ‘ওটা অবিশ্বাস্য একটা ইনিংস। আমি ভাবছিলাম কখন কোমরের নীচে কয়েকটা বল পাব যাতে আমি হাঁকাতে পারি। কিন্তু ও (ডি’ভিলিয়ার্স) এসে তৃতীয় বলটাই বাউন্ডারিতে পাঠাল। এরকম একটা পিচে এবি’র পক্ষেই এমন ব্যাটিং সম্ভব। এটা স্মরণীয় একটা ইনিংস। আমরা ১৯৫ রান তুলতে পেরেছি কেবল ওই মানুষটার জন্যই।’ এছাড়া এই ম্যাচ থেকে পাওয়া অন্যান্য ইতিবাচক বিষয়গুলো কী?
উত্তরে কোহলি জানান, ‘চলতি টুর্নামেন্টে কেকেআরও ভালো খেলছে। কিন্তু এই ম্যাচে আমাদের একটা ভালো শুরু দরকার ছিল। দেখে ভালোলাগছে দলের প্রয়োজনে ভিন্ন সময় ভিন্ন ক্রিকেটার দায়িত্ব নিচ্ছে। ক্রিস মরিস যোগ দেওয়ায় বোলিং ইউনিটকে আরও শক্তিশালী লাগছে।’ এছাড়া দলের সাফল্য সম্পর্কে কোহলির ধারণা চলতি বছর তাদের পরিকল্পনায় অনেক স্বচ্ছতা রয়েছে এবং ক্রিকেটাররা জানেন মাঠে তাদের ঠিক কী করতে হবে।